টাঙ্গাইল-ভুঞাপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০১৯, ০৬:১৩ পিএম টাঙ্গাইল-ভুঞাপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ
বন্যার পানিতে গৃহবন্দি মানুষ ক্ষোভে শ্যামপুর ব্রিজের নিম্নমানের ডাইভারশন কেটে দিয়েছেন  -  ছবি : জাগরণ

বন্যার পানিতে গৃহবন্দি মানুষ ক্ষোভে টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর সড়কের শ্যামপুর ব্রিজের নিম্নমানের ডাইভারশন শনিবার (২০ জুলাই) দুপুরে কেটে দিয়েছেন। ফলে এই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

উত্তেজিত জনতা বেইলি ব্রিজ নির্মাণ ও ঠিকাদারদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ করেন। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

জানা যায়, এলেঙ্গা-ভূঞাপুর সড়কের ব্রিজ নির্মাণ ও রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ফলে প্রতিটি ব্রিজ ভেঙে যান চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়েছে ডাইভারশন। নিম্নমানের সামগ্রী ও আবর্জনা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ডাইভারশন তৈরি করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শ্যামপুর ও ফুলতলা ডাইভারশন দিয়ে পানি প্রবাহে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গ্রামগুলো হচ্ছে কালিহাতী উপজেলার ফুলতলা, রৌহা, ভাঙ্গাবাড়ি, চরভাবলা, হাকিমপুর, ভাবলা, মিরপুর, শেরপুর, দেওলাবাড়ি ও রাজাবাড়ির একাংশ। এতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও গ্রামীণ রাস্তাঘাট।

পানিবন্দি মানুষ উত্তেজিত হয়ে ডাইভারশনের বাঁধ কেটে দেয়ায় পশ্চিমাঞ্চলের পানি পূর্ব দিকে প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। টাঙ্গাইল থেকে ভুঞাপুর সড়কের সব ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এদিকে পানিবন্দি মানুষ জানান, ঠিকাদারদের দুর্নীতি ও সড়ক কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণেই এই নিম্নমানের ডাইভারশন করা হয়েছে। আর বন্যায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। ঠিকাদারদের শাস্তি দাবি করেছেন তারা।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার রহমান বলেন, স্থানীয়রা শ্যাম ব্রিজের ডাইভারশন অন্যায়ভাবে কেটে দিয়েছেন। এখানে বিকল্প ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল এহসান সাংবাদিকদের বলেছেন, শ্যামপুর ও ফুলতলা ডাইভারশন ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু এই মুহূর্তে করার কিছুই নেই।

এনআই

আরও সংবাদ