• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০১৯, ০৫:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৬, ২০১৯, ০৫:১১ পিএম

মির্জাপুরে বংশাই নদীতে ভাঙন, সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

মির্জাপুরে বংশাই নদীতে ভাঙন, সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
ভাঙনকবলিত বংশাই নদী ছবি : জাগরণ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বংশাই নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে কুর্ণী-ফতেপুর সড়কে কালভার্টসহ প্রায় ৪০০ ফুট রাস্তা নদীগর্ভে চলে গেছে। বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন অনেকে। ফলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শত শত মানুষ। ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী মানুষ।

ভাঙনকবলিত এলাকাবাসী জানান, দুই সপ্তাহ আগে ঝিনাই নদীর পানি বৃদ্ধি শুরু হয়। এতে চাকলেশ্বর, থলপাড়া, বৈলানপুর-পাতিলাপাড়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের তীব্রতার কারণে এরই মধ্যে রাস্তা, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। হিলরা বাজারের উত্তর পাশের অধিকাংশ স্থান ভেঙে গেছে। বাজারের পাশ দিয়ে এলজিইডির নির্মিত কালভার্টসহ রাস্তা ভেঙেছে। পানি বাড়ার পাশাপাশি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলাই ভাঙনের অন্যতম কারণ।

সরেজমিনে জানা গেছে, ভাঙনের ফলে পাশে থাকা আবাদি জমির ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। আগে যেখানে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজারের বেশি যানবাহন চলত, এখন সেখানে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু স্থানীয়দের মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা ও ভ্যান চলাচল করছে। এতে বিপাকে পড়েছেন যাতায়াতকারীরা এবং রোজগার কমে গেছে যানবাহনে চালক ও কর্মচারীদের।

ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ খান ও থলপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়া বলেন  প্রতিবছরই নদী ভাঙে। কিন্তু ভাঙন রোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, ‘ইতোমধ্যে ভাঙনকবলিত এলাকা আমাদের ডিসি স্যার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিদর্শন করেছেন। তাদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, বংশাই নদীর ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

এনআই