বান্দরবানে নানা আয়োজনে প্রবারণা পূর্ণিমা শুরু

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০১৯, ০৯:৫৬ পিএম বান্দরবানে নানা আয়োজনে প্রবারণা পূর্ণিমা শুরু
রথ টেনে প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব উদ্‌যাপনের শুভ উদ্বোধন  -  ছবি : জাগরণ

বান্দরবানে শুরু হলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা, মারমা সম্প্রদায়ের কাছে যা ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে নামে পরিচিত।

প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব উদ্‌যাপন উপলক্ষে শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বান্দরবানের রাজার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী ফানুস ওড়ানো, রথ টানা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মোমবাতি জ্বালিয়ে রথ টেনে প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব উদ্‌যাপনের শুভ উদ্বোধন করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা। ‘ছংরাসিহ্ ওয়াগ্যোয়াই লাহ্ রাথা পোয়েঃ লাগাইমে.. ’ (সবাই মিলেমিশে রথযাত্রায় যায়..) আদিবাসী মারমারা এই বিশেষ গান পরিবেশন করে মাহরথ যাত্রা শুরু করে। এ সময়
পাংখো নৃত্য পরিবেশন আর রথ টানতে শত শত আদিবাসী রাস্তায় নেমে আসে। রথে জ্বালানো হয় হাজার হাজার বাতি এবং দান করা হয় নগদ অর্থ।

পরে শহরের বিভিন্ন বৌদ্ধবিহারে আগুন জ্বালিয়ে নানা রঙের ফানুস আকাশে ওড়ানো হয়। এ সময় ফানুসের আলোয় ঝলমল হয়ে ওঠে পাহাড়ের আকাশ।

এদিকে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় মনোরম সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের মনোরম সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দর্শকদের নজর কাড়ে। এ সময় মারমা শিল্পীরা বাংলা, হিন্দি ও মারমা ভাষায় সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে অনুষ্ঠানস্থল মাতিয়ে রাখেন।

জেলা সদরের মতো জেলার থানচি, লামা, রুমা, রোয়াংছড়ি, আলীকদমসহ অন্য ৬টি উপজেলায়ও প্রবারণা পূর্ণিমার আনন্দে মতোয়ারা হয়ে উঠেছে বৌদ্ধ অনুসারীরা।

অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সিং ইয়ং ম্রো, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক মংনুচিংসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে আগামী সোমবার (১৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে সাঙ্গু নদীতে রথ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এই প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব।

এনআই

আরও সংবাদ