মাধ্যমিক স্তরে গণিতের ভীতি অল্প সময়ে দূর করে কিভাবে শিশুদের গাণিতিক দক্ষতা বাড়ানো যায় এবং দুর্বল শিক্ষার্থীদের কোন উপায়ে গণিতসহ ইংরেজি ও বিজ্ঞান বিষয়ে পারদর্শী করে গড়ে তোলা যায়- এমনই একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার ইউএনও মো. নবীনেওয়াজ।
তিনি সম্প্রতি জেএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের গণিত খাতার বেহাল অবস্থা পরিদর্শন শেষে এ উদ্যোগটি নেন। ইউএনও মো. নবীনেওয়াজ মানবিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তৎক্ষণাৎ গণিত ক্লাব গঠন এবং নিজেই গণিত শেখাবেন বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে গাইবান্ধায়।
উপজেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই গণিত ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে শিক্ষার্থীদের। ক্লাস শুরু হবে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে। প্রথম ব্যাচে গণিত শেখার সুযোগ পাবে ১৫ জন শিক্ষার্থী। প্রতি সপ্তাহে দুইদিন শেখানো হবে গণিত। বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এই গণিত শিক্ষা দেয়া হবে শিক্ষার্থীদের।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজ জাগরণকে বলেন, সম্প্রতি জেএসসির গণিত পরীক্ষায় বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখা গেছে তারা গণিতে অতি দুর্বল। আর এই সংকট থেকেই মূলত গণিত ক্লাব চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে আমি নিজেই গণিতের ক্লাশ নেব। এরপর কয়েকজন গণিতের শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এরপর সেই শিক্ষকরাই ক্লাশ নেবেন। গণিত শেখানোর দিনক্ষণ শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। এ ছাড়া ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে একবার গণিত, বিজ্ঞান এবং ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে। প্রত্যেক মাসের পরীক্ষায় প্রথম ৫ জনকে আকর্ষণীয় পুরস্কার দেয়া হবে। আবার এই ৬ মাসে নেয়া ৬টি পরীক্ষার সমন্বয়ে সেরা প্রথম ৫ জন শিক্ষার্থীকেও দেয়া হবে আকর্ষণীয় পুরস্কার। যা তাদেরকে গণিতের ভীতি কাটিয়ে গণিতে দক্ষ ও আগ্রহী করে তুলতে সাহায্য করবে।
কেএসটি