মানবপাচার রোধ ও মাদক নির্মূলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এখন থেকে সীমান্তরক্ষী এই বাহিনীর হাতে কোনো মাদকবিক্রেতা আটক হলে তাদের বাড়িতে ‘মাদক কারবারির বাড়ি’ সাইন বোর্ড লিখে দেয়া হবে। ইতিমধ্যে এ উপজেলায় ৫টি বাড়িতে ‘মানবপাচারকারীর বাড়ি’, ‘মাদক কারবারির বাড়ি’, ‘ইয়াবা ব্যবসায়ীর বাড়ি’ লিখে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ওইসব বাড়ির সীমানাপ্রাচীর কিংবা দেয়ালে লাল রং দিয়ে এসব লিখে দেয়া হয়।
ওই ৫টি বাড়ি হলো উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের জামাল চৌধুরী, ইসহাক মিয়া, আজমপুর কৌড়াতলীর জুয়েল মিয়া, হুমায়ুন মিয়া ও ঘাঘুটিয়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের বাড়ি। এদের মধ্যে ৪ জনকে চলতি মাসের বিভিন্ন সময়ে মাদকসহ বিজিবির সদস্যরা আটক করেন। এর আগে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ঘাঘুটিয়া গ্রামের মোশারফ ও তার স্ত্রী রত্না বেগম মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের বাড়িতে লেখা হয়।
আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ ধরনের অপরাধীদেরকে নিরুৎসাহিত করা ও মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদেরকে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য তাদের বাড়ি চিহ্নিত করনের জন্য এসব লেখার উদ্যোগ নেয়া হয়।
সরেজমিনে কথা বললে বিজিবির এ উদ্যোগকে স্বাগত জানায় গ্রামবাসী। এতে বেশ সুফল মিলবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয় গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের বাড়িতে এভাবে লিখে দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিজিবির পক্ষ থেকেও জানানো হয়, তাদের এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। গত জুলাই মাসে এই উদ্যোগ নেয়া হলেও এখন জোরেশোরে কার্যক্রম চালানোর চিন্তাভাবনা চলছে।
উপজেলার আজমপুর ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. মুখলেছুর রহমান এ কাজের তদারকি করেন। এ সময় তারা এলাকার মানুষকে মাদক সম্পর্কে সচেতন হতে আহ্বান জানান। পাশাপাশি এসব দেয়াললিখন যেন কেউ না মোছেন, সে বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এনআই