ক্যাসিনো কাণ্ডে এনু-রুপনের ৪টি মামলার তদন্ত শেষ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২০, ১১:২৯ এএম ক্যাসিনো কাণ্ডে এনু-রুপনের ৪টি মামলার তদন্ত শেষ
ফাইল ছবি

ক্যাসিনো কাণ্ডে দুই ভাই এনু ও রুপনের ৫টি মানি লন্ডারিং মামলার ৪টির তদন্ত শেষ করেছে সিআইডি। আর অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে শিগগিরই। তদন্তে এই পর্যন্ত ১২০টি ফ্ল্যাট ও ১৫টি বাড়িসহ পাওয়া গেছে বিপুল অবৈধ সম্পদের খোঁজ। এখন এসবের বিপরীতে আরো একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তবে সবশেষ পুরান ঢাকায় ৫টি সিন্দুকে ২৭ কোটি টাকা উদ্ধারের মামলা আটকে রিমান্ড শুনানির অপেক্ষায়।

২০১৯-এর ১৮ সেপ্টেম্বর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ক্যাসিনোর খোঁজ পায় র‍্যাব।  ক্লাবটি পরিচালনা করেন গেণ্ডারিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়া। আর সেই সূত্র ধরেই ২৪ সেম্টেম্বর গেন্ডারিয়া-ওয়ারী উদ্ধার হয় বিপুল টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার।

ওই অভিযানের মুখে এনু-রুপন আত্মগোপনে গেলেও এ বছরের ১৩ জানুয়ারি বিপুল অর্থসহ তাদের কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এর পরে তাদের রিমান্ডে নিলে মিলতে থাকে সম্পদের খোঁজ। ২৪ ফেব্রুয়ারি তাদের লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাসায় পাওয়া যায় নগদ টাকা, স্বর্ণ, এফডিয়ার ও বিদেশি মুদ্রা।

এ পর্যন্ত দুই ভাইয়ের নগদ ৩২ কোটি টাকা, ৯২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ৫ কোটি ৫ লাখ টাকার এফডিআর জব্দ করা হয়েছে। মানিলন্ডারিং আইনে ৫ মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। এর মধ্যে ৪ মামলার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ১২০ ফ্ল্যাট ও ১৫ বাড়ি এবং ৫ বিঘা জমিসহ বিপুল অবৈধ সম্পদের সন্ধান।

সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল বলছে, প্রতিরাতে ক্যাসিনো থেকে এনু ও রুপনের আয় ছিল ৫ লাখ টাকা। আর সে অর্থেই সম্পদের এই পাহাড় গড়েছে তারা।

তবে লালমোহন সাহ স্ট্রিটে টাকা উদ্ধার মামলার তদন্ত আটকে আছে রিমান্ড শুনানিতে। দুই ভাইকে ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আদালতে আবেদন করা হলেও করোনার কারণে শুনানি হচ্ছে না।

গোয়েন্দাদের তথ্য বলছে, এই টাকা সে বাসায় নিয়েছেন এনু-রপনের ভাই শিপলু। এখন তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্তে যত অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে সেগুলো জব্দে আরো একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিআইডি।

কেএপি

আরও সংবাদ