ঝুঁকিতে জনশক্তি রফতানি খাত

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২০, ১০:৫৫ এএম ঝুঁকিতে জনশক্তি রফতানি খাত
ফাইল ছবি

মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে দেশের জনশক্তি রফতানি খাত। ফ্লাইট বন্ধ থাকায় কর্মস্থলে ফিরতে পারছে না অনেক প্রবাসী। ফলে নিয়োগকারী দেশগুলোও এখন উল্টো পথে হাঁটছে। তবে করোনা পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যখাতে চাহিদা বাড়বে, তাই আশা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

১০ বছর ধরে ইতালিতে রেস্তোরাঁয় কাজ করেন সাভারের জহিরুল ইসলাম। করোনা পরিস্থিতিতে ১৪ মার্চ দেশে আসেন। ফিরে যাওয়ার জন্য টিকিট কাটলেও ফ্লাইট বন্ধ থাকায় যেতে পারছেন না। এ অবস্থায় চাকরি হারানোর আশঙ্কা করছেন তিনি।

গত জানুয়ারিতে ছুটিতে এসে আটকা পড়েছেন হেমায়েতপুরের সৌদি প্রবাসী আবদুল আজিজ। কর্মস্থলে ফিরতে না পারায় সংসার চালাতে ব্যবসা শুরু করেছেন। একই অবস্থা মালয়েশিয়া ফেরত আলোমতিরও।

এ বছর ২৫ মার্চ পর্যন্ত কাজের জন্য বিদেশে গেছে এক লাখ ৮১ হাজার মানুষ। অর্থাৎ মাসে ৬০ হাজার জন যেতে পারেন। যা গত তিন মাসে পুরোপুরি বন্ধ ছিল। তা এখনও স্বাভাবিক হয়নি।

করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ নিয়ে বিদেশে যাওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে। প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ জানান, শ্রমিক নিয়োগকারী দেশগুলোর আস্থা ফেরানো কঠিন হবে। কবে সবকিছু স্বাভাবিক হবে, তা নিশ্চিত নন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।

বিশেষজ্ঞরা জানান, আগে থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নানা ধরনের সমস্যা ছিলো। করোনা নতুন সঙ্কট তৈরি করেছে। যা মোকাবিলার জন্য প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেন তারা।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছে সরকার।

কেএপি

আরও সংবাদ