• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২০, ০১:৩৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৬, ২০২০, ০১:৩৭ এএম

দাবি মানলো ভারত, বেনাপোল বন্দর দিয়ে রফতানি শুরু

দাবি মানলো ভারত, বেনাপোল বন্দর দিয়ে রফতানি শুরু
সংগৃহীত ছবি

আন্দোলনের মুখে ১০৫ দিন পর বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রফতানি শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে ৫ দিন বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হয়েছে আমদানি কার্যক্রম। 

রোববার (৫ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় গার্মেন্টস সামগ্রীর পণ্য নিয়ে ৫টি বাংলাদেশি ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এরপরই আমদানি বাণিজ্য শুরু হয়। 

ভারত থেকে রোববার শুধু কাঁচামালের কয়েকটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। আমদানি-রফতানি চালু হওয়ায় বেনাপোলসহ পেট্রাপোল বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ মার্চ থেকে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায় দুই দেশের মধ্যে। পরে দফায় দফায় বৈঠকের পর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নির্দেশে গত ৭ জুন থেকে সীমান্ত বাণিজ্য সচল হয়। এরপর থেকে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে আসছে। কিন্ত বাংলাদেশি কোনো পণ্য ভারতে রফতানি হয়নি। 

বেনাপোলের বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের শঙ্কায় ‘নিরাপত্তাজনিত’ কারণ দেখিয়ে ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে কোনো রপ্তানি পণ্য গ্রহণ করেনি। ফলে আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও ব্যাহত হচ্ছিল রপ্তানি। বাড়ছিল বাণিজ্য ঘাটতি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল এদেশের রপ্তানিকারকরা। বৈদেশিক আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল দেশ। 

রফতানি পণ্য না নেয়ায় বাধ্য হয়ে বুধবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে রফতানিকারকরা এক হয়ে বন্ধ করে দেয় আমদানি বাণিজ্য কার্যক্রম। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের দফতরে। পরে শনিবার (২ জুলাই) এক বৈঠকে রফতানির বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে রফতানি চালুর নির্দেশ দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

পেট্রাপোল বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রোববার বিকালল থেকে রপ্তানি পণ্য নিতে আগ্রহ দেখায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন ৫টি গার্মেন্টসের পণ্যবাহী বাংলাদেশি ট্রাক পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দেয়। সময় স্বল্পতার কারণে এদিন বেশি ট্রাক পাঠানো যায়নি। তবে সোমবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আবারও আমদানি-রফতানি স্বাভাবিকভাবে চলবে বলে বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের কার্গো বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাকিব বলেন, ভারতীয় বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেও রপ্তানি চালু করা যায়নি। রফতানিকারকরা আমদানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ায় অবশেষে টনক নড়ে ভারতীয় প্রশাসনসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের। ভারতীয় সরকারের সিদ্ধান্তের পর রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বেনাপোল বন্দর থেকে ৫ ট্রাক পণ্য গ্রহণ করে ভারতীয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে ওপারে যেসব পচনশীল পণ্য আটকে আছে সেগুলো গ্রহণ করা হবে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রোববার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৫ ট্রাক পণ্য ভারতে রফতানি হয়েছে এবং সন্ধ্যার দিকে ভারত থেকে ৫টি পণ্যবাহী ট্রাক আমদানি হয়েছে। সোমবার থেকে এ পথে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে। 

কেএপি

আরও পড়ুন