নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ১ টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার এই তথ্য জনান।
মাহবুব তালুকদার বলেন, ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমানকে তদন্ত কমিটির প্রধান করে ৫ সদস্য কমিটি করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই অগ্নিকাণ্ড অপ্রত্যাশিত। আল্লাহর অশেষ রহমত অন্যান্য ফ্লোরে আগুন লাগেনি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খুব দক্ষতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ।
কী রকম ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কি কি ছিল তা এখন বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে বলতে হবে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ইসি সচিব মো. আলমগীরের মতে, মোট ৪ হাজার ৫০০ ইভিএম সংগ্রহ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ভবনের নিচতলায় কিছু ইভিএম ছিল। কতগুলো ছিল তা বলতে পারেন নি তিনি। তবে কিছু ইভিএমের ক্ষতি হয়েছে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৬ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট প্রথমে কাজ শুরু করলেও তাদের সাথে যোগ দেয় আরও ৫টি ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ভেতরে আগুনের ভয়াবহতা তেমন ছিল না। তবে প্রচুর ধোঁয়া থাকায় আগুন নেভাতে তাদের কিছুটা সময় লেগেছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণ শেষে ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, কমিশনের বেজমেন্টের গোডাউনে এ আগুন লাগে। সেখানে ইভিএমের সরঞ্জামসহ অনেক প্যাকেট জিনিসপত্র ছিল। গোডাউনটির আবদ্ধ থাকায় একেবারে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গোডাউনটির ভেন্টিলেশন খুলে দেয়ায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ করা গেছে।
নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে ইভিএম সংরক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থার গুদাম রয়েছে। সেখানে কিছু ইভিএমের সরঞ্জাম ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার সাইদুল বলেন, আগুনে ইভিএমের কিছু ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতির প্রকৃত চিত্র পরে জানা যাবে।
এইচএম/এসএমএম