• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০১৮, ০৯:৩৭ এএম

পরিচয়পত্রে স্বামীর নাম বদলালেন মমতাজ

পরিচয়পত্রে স্বামীর নাম বদলালেন মমতাজ

 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের একদিন আগে নিজের পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধন করলেন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম।  মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) তিনি তার স্বামীর নাম, নিজের ইংরেজি নাম ও শিক্ষাগত যোগ্যতা পরিবর্তন করেছেন।  তবে স্বামীর নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তালাকনামাসহ প্রয়োজনীয় প্রমাণ দেননি তিনি।  গতকাল মঙ্গলবার এই সংশোধনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংশোধনীর আগে জাতীয় পরিচয়পত্রে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়া মমতাজ বেগমের স্বামীর নাম ছিল মো. রমজান আলী।  সংশোধনের পর তার স্বামীর নাম হয়েছে এ এস এম মঈন হাসান। 

মমতাজের শিক্ষাগত যোগ্যতা ৫ম শ্রেণির পরিবর্তে ১০ম শ্রেণি এবং ইংরেজি নাম MOMTAZ BEGUM-এর পরিবর্তে MOMTAZ BEGOM অনুমোদন দিয়েছে ইসি।

ইসির এ সংক্রান্ত একটি নোটে বলা হয়েছে, ‘স্বামীর নাম সম্পূর্ণ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর আগের স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত কোনো কাগজাদি (যেমন তালাকনামা, স্বামীর এনআইডি কার্ডের কপি ইত্যাদি) সংযুক্ত করা হয়নি।’

ইসির ওই নোটে আরো বলা হয়, ‘মমতাজের চাহিত ইংরেজি নামের বানান দাখিল করা পাসপোর্টে লিপিবদ্ধ নামের বানানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হলেও পাসপোর্টের কপিতে স্বামীর নাম (spouse name)-NA (প্রযোজ্য নয়) উল্লেখ রয়েছে।  অন্যদিকে শিক্ষাগত যোগ্যতার স্বপক্ষে জয়মন্টপ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত প্রশংসাপত্র দাখিল করেছেন।  পাশাপাশি তিনি বিয়ের সনদ (ম্যারেজ সার্টিফিকেট) দাখিল করেছেন এবং উক্ত সার্টিফিকেটে চাওয়া স্বামীর নামের মিল রয়েছে।’

গত ২৬ নভেম্বর মমতাজের আবেদনে স্বাক্ষর করেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, পরিচালক (অপারেশন্স), উপপরিচালক, বৈধ ও সঠিকতা যাচাইকরণের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ সরওয়ার হোসেন।  আর ২৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার) স্বাক্ষর করেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম, মো. রফিকুল ইসলাম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।

জাতীয় পরিচয়পত্র ও সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত (সংশোধন, যাচাই ও সরবরাহ) প্রবিধানমালা-২০১৪ অনুযায়ী, বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এক বা একাধিক বৈধ প্রমাণ বিবেচনায় নেয়ার কথা বলা হয়েছে।  সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বিয়ের নিবন্ধনের সনদ, হিন্দু ও অন্য ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে বিয়ের নিবন্ধন না হয়ে থাকলে (উভয় পক্ষের) প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এফিডেভিট, সন্তানের শিক্ষা সনদ ও আইডি কার্ড, বিবাহ বিচ্ছেদ নিবন্ধন সনদ, স্বামী/স্ত্রীর মৃত্যু সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং অন্য বৈধ প্রমাণাদি।

তথ্য সংশোধন করতে মমতাজ তালাকনামা, স্বামীর এনআইনডি কার্ডসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে পারেননি।  এগুলো ছাড়া তিনি আইডি কার্ড পেতে পারেন কি না জানতে চাইলে কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে, সেই স্বামীর আইডি কার্ড দেয়ার ক্ষমতা আছে কোনো বউয়ের?’

এর আগে ২৩ অক্টোবর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সহকারী পরিচালক (মানবসম্পদ ও প্রশিক্ষণ) মোছাম্মৎ সিরাজুম মনিরা চৌধুরী সই করা চিঠিতে বলা হয়, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম (অন্তর্ভুক্তি, সংশোধন ও স্থানান্তর) বন্ধ থাকবে।

৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পরও সংশোধন করা যায় কি না, এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বন্ধটা করেছে কে, বলেন তো।  যে (কমিশন) বন্ধ করেছে তার ক্ষমতা না থাকলে কার থাকবে?’

হাশা /সাইসে/