• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২০, ০৭:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৮, ২০২০, ০৭:২৬ পিএম

কোভিড-১৯

সুস্থ হয়ে উঠছেন মোয়াজ্জিন, করোনামুক্ত তার পরিবারের ৫ সদস্য

সুস্থ হয়ে উঠছেন মোয়াজ্জিন,  করোনামুক্ত তার পরিবারের ৫ সদস্য

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার একমাত্র আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের পাঁচ সদস্য করোনামুক্ত। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো নমুনায় আইইডিসিআর এর রিপোর্টে তাদের শরীরে করোনা নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত ওই মোয়াজ্জিনের শারীরিক অবস্থাও দিনদিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির এবং চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুন হাসান মিলন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির জাগরণকে  জানান, বাগেরহাট জেলায় প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যাক্তির বাড়ি চিতলমারী উপজেলার পাটাপাড়া গ্রামে। আক্রান্ত ৩৫ বছরের ওই যুবক ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমপুর ইউনিয়নের পাতরাইল জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন ছিলেন। ৯ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) তিনি ফরিদপুরের পাতরাইল থেকে পাটরপাড়া গ্রামে আসেন। শুকনো কাশিসহ করোনা আক্রান্তের উপসর্গ থাকায় তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে নমুনা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আইইডিসিআর এর রিপোর্ট তার শরীরে করোনা পজেটিভ আসে।

এরপর ১৫ এপ্রিল (বুধবার) বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাটরপাড়া গ্রামে আক্রান্তের বাড়িসহ আশপাশের ১৬ বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আক্রান্তের স্ত্রী, মা, দুই ভাই ও এক ভাইয়ের স্ত্রীসহ পাঁচ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আইইডিসিআর এর রিপোর্টে তাদের শরীরে করোনা নেগেটিভ এসেছে। তবে এ রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানিকভাবে এখনও তার (সিভিল সার্জনের) হাতে পৌঁছায়নি। 

চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুন হাসান মিলন জানান, তার তত্বাবধানে থাকা করোনায় আক্রান্ত ওই মোয়াজ্জিনের অবস্থা দিনদিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আজ (১৮ এপ্রিল) ওই রোগীর দ্বিতীয়বারের মত নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে ওই মোয়াজ্জিন করোনামুক্ত হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও তিনি জানান।

এসএমএম

আরও পড়ুন