• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০১৯, ১০:২৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২০, ২০১৯, ১০:৩২ এএম

কোচিং কোনো রকেট সায়েন্স না, আমিও পারি: সুজন 

কোচিং কোনো রকেট সায়েন্স না, আমিও পারি: সুজন 

বিশ্বকাপ ব্যর্থতার দায় কাঁধে চাপিয়ে ইংলিশ কোচ স্টিভ রোডসকে ইতোমধ্যেই দেশের বিমান ধরিয়ে দিয়েছে বিসিবি। এখন চলছে নতুন কোচ খোঁজার প্রক্রিয়া। বিসিবির ওয়েবসাইটে এতদিন ঝুলছিল প্রধান কোচের 'চাকরি বিজ্ঞপ্তি'। 

তবে চাইলেই রাতারাতি কোচ পাওয়া সম্ভব নয়। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যুগে হাই-প্রোফাইলধারী কোচরা সারা বছরই ব্যস্ত থাকেন আইপিএল, বিপিএল, বিগ ব্যাশে। সে কারণেই দীর্ঘ মেয়াদের জন্য জাতীয় দলের প্রধান কোচ পাওয়া একটু দুষ্করই বটে। এই যেমন অস্ট্রেলিয়ান টম মুডির কথাই ধরুন। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ, বিপিএলে রংপুর রাইডার্সে হয়ে কোচের দায়িত্ব পালন করা এই কোচকে বারবার বিসিবি প্রস্তাব দিলেও তিনি রাজি হচ্ছেন না। 

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফরে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচিং করিয়ে বেশ হাত পাকানো সুজন মনে করেন, জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার ভালো যোগ্যতাই আছে তার। \

সাংবাদিকদের গতকাল খালেদ মাহমুদ সুজন জানান, 'বিদেশ থেকে যারা কোচ হিসেবে আসেন, তারা যোগ্যতা দেখান যে তাদের লেভেল থ্রি-ফোর লাইসেন্স আছে। আমি ২০০৭ সালেই তা করেছি। কোচিং ক্যারিয়ারে ১৪-১৫ বছর কাটিয়ে দিলাম, বিপিএলে প্রথমে চিটাগং ভাইকিংস, পরে ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচিং করিয়েছি। জাতীয় দলের কোচ হওয়ার যোগ্যতা আমার ভালোভাবেই আছে, এটা কোনো রকেট সায়েন্স নয়। ক্রিকেটের নিয়মগুলো তো সবার জন্যই সমান, স্কয়ার কাট সব খেলোয়াড়কেই একইভাবে মারতে হয়। ইন সুইংগার বা আউট সুইংগারও তাই। 

বিদেশী কোচ না এনে তার মতো দেশী কাউকে দায়িত্ব দেয়ার অনেক ইতিবাচক দিক দেখেন সুজন, 'একজন বিদেশী কোচ এসে ক্রিকেটারদের ঠিকঠাকভাবে বুঝে উঠতেই অনেক সময় নিয়ে ফেলেন। সেই সঙ্গে ভাষাগত সমস্যা তো থাকেই। তাই সেই কাজটা আমিও করতে পারি, আবারও বলছি, কোচিং কোনো রকেট সায়েন্স নয়।' 

এমএইচএস   

আরও পড়ুন