• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০১৯, ০৮:৪০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১১, ২০১৯, ০৮:৪০ এএম

নাঈমের নান্দনিক ব্যাটিংয়ের পরও টাইগারদের হতাশার হার

নাঈমের নান্দনিক ব্যাটিংয়ের পরও টাইগারদের হতাশার হার
ভারতের বিপক্ষে একাই বুক চিনিয়ে লড়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ফটো : বিসিবি

নাগপুরে ভারতকে হারাতে পারলেই হয়ে যেতো নতুন এক ইতিহাস। কিন্তু তা না হয়ে ভয়ানক ব্যাটিং বিপর্যয়ের খেসারত দিয়ে জয়ের পথে হাঁটতে থাকা অবস্থাতেও ৩০ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ।

রোববার (১০ নভেম্বর) আগে ব্যাট করতে নামা ভারত করেছিল ৫ উইকেটে ১৭৪ রান। জবাবে মোহাম্মদ নাঈম শেখের ৪৮ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কার মারে ৮১ রানের ঝড়ো ইনিংসের পরও ১৪৪ রানে টাইগারদের গুঁটিয়ে যাওয়াটা বাকি ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতার চিত্রই তুলে ধরে।   

প্রথম ওভারে খলিল আহমেদের ওভার থেকে দুই চারে ৮ রান তুলেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লিটন দাস। ওয়াশিংটন সুন্দরের করা দ্বিতীয় ওভার থেকে মাত্র ৩ রান তুলেন লিটন ও নাঈম শেখ। 

এরপর তৃতীয় ওভার করতে আসেন আগের ম্যাচে দূর্দান্ত বল করা দ্বীপক চাহার। প্রথম দুই বলে ডট দেয়ার পর তৃতীয় বল থেকে এক রান নেন নাঈম। স্ট্রাইকে আসেন লিটন। চাহারের করা চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের কাছে ব্যক্তিগত ৮ বলে ৯ রানে ধরা পড়েন ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতে। এরপর উইকেটে এসে প্রথম বলেই শিভম দুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান সৌম্য সরকারও।

১২ রানে দুই উইকেটের পতনের পর তৃতীয় উইকেটে নাঈম ও মোহাম্মদ মিঠুন ৯৮ রান যোগ করে দলকে জয়ের পথেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। মিঠুন টি-টোয়েন্টিসুলভ ব্যাটিং না করে ২৯ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে নাঈমকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পেরেছিলেন। কিন্তু ১৩তম ওভারের শেষ বলে মিঠুন আউট হওয়ার পরই বদলে যায় সব সমীকরণ। আউটের মিছিলে যোগ দেন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ ধ্রুবরা। ফলাফল ২ উইকেটে ১১০ রান থেকে ১৪৪ রানে অলআউট। অর্থাৎ মাত্র ৩৪ রান যোগ করতেই শেষ ৮ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। 

অসাধারণ বোলিং করা দীপক চাহার ৩.২ ওভারে মাত্র ৭ রানে নেন ৬ উইকেট, যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসের সেরা বোলিং ফিগার। এছাড়া ম্যাচ ও সিরিজ সেরা চাহার ভারতের প্রথম এবং বিশ্বের ১১তম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক তুলে নেন। 

এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা ভারতের বিপক্ষে দারুণ শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ২ রানের সময় রোহিতের উইকেট তুলে নেন শফিউল ইসলাম। এরপর ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগেই ফেরানো গেছে শেখর ধাওয়ানকেও, ৪ চারে ১৬ বলে ১৯ রান করেন তিনি। তবে এই দুই জনের বিদায়ের পর বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন লুকেশ রাহুল। তাকেও ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরান আল আমিন। 

৭ চারে ৩৫ বলে ৫২ রান করা রাহুলকে মিড অফে দাঁড়িয়ে থাকা লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। রাহুলের বিদায়ের পর ভারতীয় ইনিংসের দায়িত্ব নেন শ্রেয়াস আয়ার। শূণ্য রানেই শফিউলের বলে বিপ্লবের হাতে ক্যাচ দেয়া এই ব্যাটসম্যান ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৩৩ বলে ৬২ রান করে আল আমিনের বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। শেষদিকে মনিশ পান্ডিয়ার ২২ রানের ছোট্ট ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান তুলে ভারত। 

বাংলাদেশের পক্ষে শফিউল ও সৌম্য দুইটি ও আল আমিন পান একটি উইকেট। 

আরআইএস 
 

আরও পড়ুন