• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯, ০২:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯, ০২:২২ পিএম

এসএ গেমস

পদকহীন ফেডারেশনগুলোর বেশিরভাগ কর্মকর্তাই বিওএ’র

পদকহীন ফেডারেশনগুলোর বেশিরভাগ কর্মকর্তাই বিওএ’র

এবারের এসএ গেমসে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন  ‘দুই ডিজিট’ সোনার। সে প্রত্যাশা ছাড়িয়ে বাংলাদেশ সোনা জিতেছে ১৯টি। যা নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সোনা জয়ের রেকর্ড। তবে পুরো আসরের পদক তালিকার দিকে তাকালেই ব্যবধানটা স্পষ্ট করা যাবে। সাত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থানটা পঞ্চম। নিচের দুই দেশ ভুটান ও মালদ্বীপ। 

এবারের এসএ গেমসে বাংলাদেশ ২৫ ডিসিপ্লিনে অংশ নিয়ে রেকর্ড ১৯টি সোনা জিতেছে। রুপা জিতেছে ৩৩টি, ব্রোঞ্জ ৯০টি। সব মিলিয়ে ১৪২টি পদক জিতেছে বাংলাদেশ। ১৯টি সোনার মধ্যে আরচারি থেকেই এসেছে ১০টি। কারাতে থেকে এসেছে ৩টি। ভারোত্তোলন ও ক্রিকেটে দুটি করে। ফেন্সিং ও তায়কোয়ানন্দো থেকে এসেছে একটি করে সোনা। এবারের আসরে অংশ নেয়া ২৫ ফেডারেশনের মধ্যে ভলিবল, বাস্কেটবল, সাইক্লিং, টেনিস ও স্কোয়াশ থেকে কোনো পদক জিততে পারেনি বাংলাদেশ।

আসর শেষে বিওএর সভাপতি বশির আহমেদ ব্যর্থ ফেডারেশনের কাছে জবাব চাইবেন বলে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘জুলাই মাস থেকে আমরা সব দলে বিদেশি কোচ এনে দিয়েছি। ফেডারেশনগুলো যেভাবে চেয়েছে, সেভাবেই দিয়েছি। কিছু ফেডারেশন তা কাজে লাগাতে পেরেছে, কেউ পারেনি। তারা কেন পারেনি তার জবাব অবশ্যই আমরা চাইবো।’

অথচ এবারের এসএ গেমসে যেসব ফেডারেশন ব্যর্থ হয়েছে। তাদের বেশির ভাগেরই শীর্ষ কর্তা বিওএর কর্মকর্তা। এসএ গেমসে ভলিবল দল নারী, পুরুষ ও বিচ ভলিবল (পুরুষ) তিনটি ইভেন্টে অংশ নেয়। কোচ, প্রশিক্ষক ও খেলোয়াড় মিলিয়ে মোট ৩৮ জনের বহর যায় নেপালে। কিন্তু তারা কোনো পদক উপহার দিতে পারেনি বাংলাদেশকে। অথচ এই ফেডারেশনের সভাপতি হলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ)এর উপমহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু। 

বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের ট্রেনিং এন্ড ডেভলপমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব একে সরকার। তার অধীনেই এসএ গেমসে ২৫ ডিসিপ্লিনে অংশ নেয় বাংলাদেশ। অন্যান্য ডিসিপ্লিনে গর্ব করার মতো পদক আসলেও একেবারে খালি হাতে ফিরেছে একে সরকারের নেতৃত্বে থাকা বাংলাদেশ বাস্কেটবল ফেডারেশন। 

এসএ গেমস শুরুর দশদিন আগে নারী খেলোয়াড়ের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে টেনিস ফেডারেশন সাধারন সম্পাদক গোলাম মোর্ত্তজাকে নিষিদ্ধ করা হয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাসুদ করিমের হাতে দেয়া হয় টেনিস ফেডারেশনের দায়িত্ব। টেনিসে ম্যানেজার, প্রশিক্ষক ও খেলোয়াড়সহ মোট ১১ জন অংশ নেয়। এনএসসির সচিবের দায়িত্বে থাকা এই ফেডারেশনটিও ফিরেছে খালি হাতে। 

এমএইচবি

আরও পড়ুন