• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২০, ০৪:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৪, ২০২০, ০৪:৫৭ পিএম

ত্রাণের দাবিতে খুলনায় বিক্ষোভ

ত্রাণের দাবিতে খুলনায় বিক্ষোভ
সংগৃহীত ছবি

খুলনার রূপসা উপজেলায় ত্রাণ ও সাহায্যের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।

পেটের ক্ষুধার জ্বালায় রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন বলেন জানান তারা।

মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে রূপসা উপজেলার পূর্ব রূপসা বাজার পার্শ্ববর্তী আদর্শগলির শত শত নারী পুরুষ এ বিক্ষোভে অংশ নেন।

করোনারভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব না মেনে তারা বাজারের বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল করতে করতে পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ড ফাঁড়ির সামনে অবস্থান নেয়। পরে তারা খুলনা-মোংলা মহাসড়কে সেনাবাহিনীর টহল গাড়ি পেয়ে তাদের কাছে দাবি তুলে ধরেন।

এলাকাবাসী দাবি করেন, এলাকার প্রতিটা মানুষ ঘরে থাকলেও তাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনও প্রকার ত্রাণ বা খাবার আসেনি। মেম্বার চেয়ারম্যানদের কাছে বললে তারা কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। এলাকার নেতারাও খোঁজ-খবর নিচ্ছেনা। এদিকে পরিবারের সদস্যরা অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।

তারা জানান, মাছ কোম্পানিগুলোর মালিক বেতন দিচ্ছে না। ঘর থেকে বের হতে পারছে না। কাজ কাম নেই। অথচ টিভিতে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী গরিব মানুষকে সহায়তা পাঠিয়েছেন। সরকার ১০ টাকা কেজি করে চাল দিচ্ছিল, তাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন অসহায় মানুষগুলো। এছাড়া যারা দিন এনে দিন খেয়ে এতদিন জীবন-যাপন করছিলেন তারাও পড়েছেন মহা বিপাকে।

বিক্ষোভের সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে এলাকাবাসীকে শান্ত করেন।

পরে নৈহাটী ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুল সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে বলেন, কর্মহীনদের জন্য যে পরিমাণ বরাদ্দ পাচ্ছি তা দিয়ে কিছুই হচ্ছে না। এলাকায় ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার বলেন, রূপসার নৈহাটী ইউনিয়নে ৪-৫ হাজার অভুক্ত মাছ কোম্পানির শ্রমিক রয়েছেন। একটা কোম্পানি ছাড়া বাকি কোম্পানিগুলো শ্রমিকদের এখনও বেতন দেয়নি। আমি মালিক পক্ষের সাথে বেশ আগে থেকে কথা বলেছি। ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সাথেও কথা বলেছি যাতে শ্রমিকদের বেতন সময় মতো দেয়া হয়।

তিনি জানান, রূপসা একটি বিশাল জনবসতি এলাকা। এখানে সরকারি সহযোগিতার চাল এসেছে ৬১ টন, যা মাত্র ৭ হাজার পরিবারকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু শুধু পূর্ব রূপসার নৈহাটী ইউনিয়নেই নিম্নআয়ের শ্রমিক রয়েছেই ৫-৬ হাজার।

এসএমএম

আরও পড়ুন