• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২০, ০৪:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৬, ২০২০, ০৪:২৬ পিএম

বাবার পাষণ্ডতায় প্রাণ গেলো ৯ মাস বয়সী শিশু কন্যার

বাবার পাষণ্ডতায় প্রাণ গেলো ৯ মাস বয়সী শিশু কন্যার

কিশোরগঞ্জের নিকলীতে শামীম মিয়া (২৮) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে মায়মুনা নামে তার ৯ মাস বয়সী শিশু কন্যাকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মায়মুনার মরদেহ উদ্ধার করে নিকলী থানার পুলিশ। পরে রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল মর্গে  শিশুটির মরদেহ পাঠিয়ে দেয়া হয়। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শিশুটির বাবা শামীম মিয়া নিকলী উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের বাঘুয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা। শামীম মিয়া ও তার প্রথম স্ত্রী সেলিনার ঘরে দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। পরে মোবাইল ফোনে সম্পর্কের জেরে খায়রুন (২২) নামে এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন শামীম। কিছুদিন পর তাদের ঘরে মায়মুনার জন্ম। কিন্তু শিশুটির জন্মের পর থেকে তাকে নিয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। ২ মাস বয়সে পাষণ্ড বাবা ব্লেড দিয়ে মায়মুনার গুহ্যদ্বার ও যৌনাঙ্গ কেটে দেন। পরে চিকিৎসায় বেঁচে যায় শিশুটি। বিষয়টি সালিশে আপস করে দেন এলাকাবাসী। পরে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জেরে শিশুটির মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন শামীম মিয়া। ঘটনার পরপরই নিকলী হাসপাতালে আনা হয় মায়মুনাকে। কিন্তু করোনার প্রভাবে সাময়িকভাবে নিকলী হাসপাতালটিতে চিকিৎসা বন্ধ থাকায় স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করান মা খায়রুন। পরে রাত ১০টায় মায়মুনাকে শামীম মিয়ার কাছে রেখে প্রকৃতির ডাকে বাইরে যান খায়রুন। ফিরে এসে শিশুটিকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টায় মায়মুনার মৃত্যু হয়। এরপর শামীম মিয়া গোপনে মায়মুনার মরদেহ দাফন করতে চাইলে বাধা দেন খায়রুন। পরে বিষয়টি জেনে নিকলী থানায় খবর দেন এলাকাবাসী।

নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম সিদ্দিকী জানান, খবর পাওয়া মাত্রই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট পর্যালোচনায় শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলা যায়। তারপরও লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাবা শামীম মিয়া পলাতক রয়েছে। 

এসএমএম

আরও পড়ুন