• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০১৯, ০৬:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৯, ২০১৯, ০৬:১৬ পিএম

নারী সার্ফারের জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্র ন’ ডরাই, ৮ প্রেক্ষাগৃহে শুভমুক্তি

নারী সার্ফারের জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্র ন’ ডরাই, ৮ প্রেক্ষাগৃহে শুভমুক্তি
ন’ডরাই চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্য

শু ভ মু ক্তি

......

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দেশের ৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে আলোচিত চলচ্চিত্র ‘ন ডরাই’।

প্রেক্ষাগৃহগুলো হলো- স্টার সিনেপ্লেক্স (বসুন্ধরা সিটি, ধানমণ্ডি ও মহাখালী), যমুনা ফিউচার পার্কের ‘ব্লকবাস্টার’, শ্যামলী সিনেমা, চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিন, ময়মনসিংহের ‘ছায়বাণী’ ও বগুড়ার ‌‘মম ইন’।

আনুষ্ঠানিক শুভমুক্তি আগে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ‘ন ডরাই’ ছবির প্রিমিয়ার শো-এর আয়োজন করে স্টার সিনেপ্লেক্স। বসুন্ধরা সিটির ৪ নং হল সন্ধ্যা থেকেই কানায় কানায় পূর্ণ। দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা, অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ গণমাধ্যমের মানুষরাই ছিলেন বিশেষ এই প্রদর্শনীতে।

প্রিমিয়ার শো-এর আগে প্রথম প্রযোজিত সিনেমার কথা শোনালেন ছবির প্রযোজক ও স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল।

মাহবুব রহমান রুহেল অনুভূতি প্রকাশ করে জানালেন, প্রথম যখন দেশের প্রথম নারী সার্ফার আয়েশার গল্প শুনেছিলেন, তখন থেকেই গল্পটা তার মাথায় গেঁথে যায়। এরপর ভাল একজন চিত্রনাট্যকারের হাতে পড়ে এটি ভিন্নমাত্রা পায় বলে জানান তিনি। আর এটি দুর্দান্তভাবে সিনেমার পর্দায় তুলে ধরার কাজটি করেছেন নির্মাতা তানিম রহমান অংশু।

শুধু চিত্রনাট্যকার বা নির্মাতাকেই নয়, এজন্য  ছবির নির্বাহী প্রযোজক ও সঙ্গীত শিল্পী জেফার, সিনেমাটোগ্রাফার সুমনসহ ছবির সকল কলা-কুশলীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই প্রযোজক রুহেল।

তিনি বলেন, ভয়কে জয় করার সিনেমা ‘ন ডরাই’। একটি শুধু একটি সিনেমা নয়, এটি একটি মুভমেন্টও। নারীর শক্তিকে ছড়িয়ে দিতে এই ছবিটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন তিনি।

কক্সবাজারের এক তরুণ নারী সার্ফারের জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘ন ডরাই’। ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুনেহরাহ্ বিনতে কামাল। দৈনিক জাগরণকে তিনি বলেন, এই সিনেমার সবকিছুই চ্যালেঞ্জিং ছিল। উত্তরবঙ্গের মেয়ে হয়ে চাটগাঁইয়ার মতো কঠিন ভাষা শেখা, সার্ফিং করা ইত্যাদি। সবচেয়ে বড় কথা, এটা আমার প্রথম সিনেমা। নারী নির্ভর সিনেমা হওয়ায় এটা আরও বেশি স্পেশাল আমার জন্য।

সিনেমার প্রায় ৯০ শতাংশ দৃশ্যধারণ হয়েছে কক্সবাজারে। সিনেমায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। ইংরেজি সাবটাইটেল আছে। 

চিত্রনাট্য লিখেছেন দেবের বুনোহাঁস ও পিংক সিনেমার চিত্রনাট্যকার কলকাতার শ্যামল সেনগুপ্ত। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন সাঈদ বাবু, শরীফুল রাজসহ এক ঝাঁক পুরাতন-নতুন মুখ। 

সিনেমাটি নিয়ে একটি কমিকস বইও প্রকাশিত হয়েছে।

এসএমএম

আরও পড়ুন