রামগঞ্জে নিখোঁজের ৭ দিন পর যুবকের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০১৯, ০৯:৩৪ পিএম রামগঞ্জে নিখোঁজের ৭ দিন পর যুবকের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার
নিহত মো. সুমন  -  ছবি : জাগরণ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের ৭ দিন পর মো. সুমন (২৪) নামের এক যুবকের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে রামগঞ্জ থানার পুলিশ। রোববার (২৮ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ৯ নং ভোলাকোট ইউনিয়নের উত্তর নাগমুদ গ্রামের মিঝি বাড়ির পরিত্যক্ত বাগান থেকে মাটিচাপা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. সুমন কুমিল্লা জেলার ২য় মুরাদপুর সুজানগর গ্রামের মো. ইউনুছ আলীর ছেলে ও শহরের সোনাপুর বাজারের একটি মুদি দোকানের কর্মচারী। এ ঘটনায় একই দোকানের অন্য কর্মচারী মো. সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলা ও রামগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, রামগঞ্জ পৌর সোনাপুর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মো. ইউসুফের দোকানে কুমিল্লার মো. সুমন ও সোহেল হোসেন (২৭) নামের দুই যুবক বেশ কয়েক বছর যাবৎ চাকরি করছেন। দীর্ঘদিন একই দোকানে কর্মরত থাকায় সোহেলের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কুমিল্লার সুমনের। সুমন সোহেলকে বেশ কিছু টাকা ধার দেন। পাওনা টাকা নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো দুজনের মাঝে। গত ২১ জুলাই রাত থেকে সুমনের কোনো খোঁজ নেই। তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে সুমনের বাবা ২৭ জুলাই রামগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে রামগঞ্জ থানার পুলিশ শনিবার বিকেলে সোহেলের বাড়ি থেকে তার বাবা বাবুল মিয়াকে আটক করে। বাবাকে আটকের খবর পেয়ে মো. সোহেল শনিবার রাতে রামগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। পরে রোববার বিকেলে সোহেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রামগঞ্জ উপজেলার নাগমুদ মিঝি বাড়ির পশ্চিম পাশের পরিত্যক্ত বাগানের মাটির নিচ থেকে সুমনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘাতক মো. সোহেলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এনআই

আরও সংবাদ