নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০১৯, ০৩:৪৭ পিএম নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
নিহত রিতু পাল - ছবি : জাগরণ

নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর জয়পুরহাট সদর থানা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর মরদেহ পাঁচবিবি উপজেলার ছোট যমুনা নদী থেকে এলাকাবাসী ও পুলিশ উদ্ধার করেছে।

জয়পুরহাট সদরের কাদোয়া মাদ্রাসার শিক্ষক বিশ্বনাথ পালের দুই মেয়ের মধ্যে রিতু পাল বড়। তাদের গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার মাধাইনগর গ্রামে। বাবার চাকরি ও ট্রেলারিং হাউসের ব্যবসার কারণে গত দুই বছর ধরে পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের সবুজনগর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে তারা বসবাস করছিল। এলাকাবাসী জানায়, রিতু শান্ত স্বভাবের মেয়ে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর রহমান ও তার আত্মীয়স্বজন জানান, জয়পুরহাট সদর থানা স্কুলের (নার্সারি স্কুল) অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল রিতু। ৩ দিন জ্বরে ভুগে সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল ৬টায় রিতুর মা রিতুকে স্কুলসংলগ্ন এলাকায় প্রাইভেট টিউটরের কাছে নিয়ে যান। সেখানে প্রাইভেট টিউশন শেষে তার বিদ্যালয়ে কোচিং করার জন্য রিতুকে রেখে বাড়িতে আসেন। কোচিং শেষে শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় ক্লাস না করেই শিক্ষকদের বাড়িতে আসার কথা বলে সে চলে আসে। কোচিং সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর রিতু বাড়িতে না আসায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।

ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ একটি অপরিচিত নম্বর থেকে রিতুর বান্ধবীর মায়ের ফোনে কল আসে এবং অপরিচিত এক লোক তাকে জানায়, পাঁচবিবি শ্মাশানের কাছে একটি স্কুলব্যাগ পাওয়া গেছে।

এই খবর স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানালে প্রধান শিক্ষক রিতুর পরিবারকে বিষয়টি জানান। সাথে সাথেই ওই এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু হলে ছোট যমুনা নদীতে একটি লাশ ভাসমান দেখে রাত ১০টায় এলাকাবাসী ও পুলিশ লাশটি উদ্ধার করলে আত্মীয়স্বজন লাশটি রিতুর বলে শনাক্ত করেন।

পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে পাঠায়। তবে সুরতহাল রিপোর্টে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, এমন আলামত পাওয়া যায়নি। রিতুকে হত্যা করা হয়েছে নাকি সে আত্মহত্যা করেছে, এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।

এনআই

আরও সংবাদ