এবার পশ্চিমবঙ্গে সেঞ্চুরি হাঁকাল পেঁয়াজ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০১৯, ১১:১০ এএম এবার পশ্চিমবঙ্গে সেঞ্চুরি হাঁকাল পেঁয়াজ
কলকাতার বাজারেও পেঁয়াজের ঝাঁজ বেড়েছে-ছবি : ইন্ডিয়াএক্সপ্রেসবাংলা

বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম আগেই ডাবল সেঞ্চুরি করেছে অনেক আগে। পরিস্থিতি এতোটাই সঙ্কটজনক হয় যে ভারত সফরে এসে সে কথা উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। এবার সেই লক্ষ্যে ছুটতে শুরু করলো পশ্চিমবঙ্গও।

রোববার (২৪ নভেম্বর) শহর কলকাতায় একটু বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা করে। ছোট আকারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা করে। ফলে স্বাভাবিকভাবে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের।

রোববার (২৪ নভেম্বর) ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তার আগে শনিবার (২৩ নভেম্বর) কলকাতার মানুষ ৮০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছেন। রোববার বাজারে গিয়ে মানুষের মাথায় কার্যত বজ্রপাত হয়।

পশ্চিমবঙ্গে পেঁয়াজের উৎপাদন সেভাবে হয় না। সারা বছর পেঁয়াজের জন্য রাজ্যবাসীকে তাকিয়ে থাকতে হয় মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে। এবার সেই রাজ্যগুলোতেও পেঁয়াজের দর বাড়তির দিকে। ফলে বাংলাদেশ, নেপালসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করার নির্দেশ দিতে হয়েছে ভারত সরকারকে। কিন্তু পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেও যে ভারতের সঙ্কট বিন্দুমাত্র কাটেনি, তার প্রমাণ রোববারের বাজার দর। গত মে-জুন মাসেও কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার খুচরা বাজারে যে পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, বছরের শেষে তা দাঁড়িয়েছে ১০০টাকায়।

সপ্তাহ খানেক আগেই দিল্লির কৃষি ও কৃষি বিপণন দফতনের মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান বলেছিলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এমটিএমসির মাধ্যমে ১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। তবে কোন দেশ থেকে পেঁয়াজ আনা হবে, তা অবশ্য এখনও স্থির হয়নি। তবে এরই মধ্যেই ৪ হাজার টন পেঁয়াজ আনার জন্য গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা হয়েছে। খাদ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এর পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে পেঁয়াজ আমদানিতেও উৎসাহ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। সে কারণেই আমদানি ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ খানিকটা শিথিল করা হয়েছে।

ডিজিজি/এসএমএম

আরও সংবাদ