দেশে কিডনিদাতার প্রবল সঙ্কট রয়েছে উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী বলেছেন, দেশে প্রায় ১০ হাজার কিডনি বিকল রোগী প্রতি বছর কিডনি প্রতিস্থাপন করে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশে মাত্র ১০টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বছরে প্রায় ২৫০টি কিডনি সংযোজন হয়ে থাকে। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ন্যূনতম ৮০০ কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। সেজন্য ২০১৮ সালের সংশোধিত ‘মানব দেহের অঙ্গ -প্রত্যঙ্গ সংযোজন’ আইনের কিছুটা পরিবর্তন আনা দরকার।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা তুলে ধরেন ডা. জাফরুল্লাহ্। এ সময় অধ্যাপক ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার, অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক ডা. এস এ হাসিফ সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ডায়ালাইসিস চালিয়ে যাওয়ার তুলনায় কিডনি প্রতিস্থাপন ব্যয় অনেক কম উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী বলেন, রক্তের সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ না রেখে যে কোনও প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ ও সবল ব্যক্তিকে কিডনি দানের অনুমতি দেয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কিডনিদাতা ও গ্রহীতা নির্ণয়ের জন্য এবং অবৈধ কিডনি বাণিজ্য প্রতিরোধ করতে সরকারি উদ্যোগে প্রত্যয়ন প্রদানকারী বোর্ড গঠন করা যেতে পারে।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বিকল কিডনির উত্তম চিকিৎসা কিডনি প্রতিস্থাপন। ডায়ালাইসিসে উপকার পাওয়া গেলেও তা খুবই ব্যয়বহুল। দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ে সুস্থ ব্যক্তির দেহ থেকে একটি কিডনি সংগ্রহ করে সরাসরি একজন বিকল কিডনি রোগীর মাঝে প্রতিস্থাপন করে ১৫ থেকে ২০ বছর সুস্থ জীপনযাপন করানো সম্ভব।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কিডনি প্রতিস্থাপনের অবাধ সুযোগ থাকার বিষয়টি তুলে ধরে ডা. জাফরুল্লাহ্ বলেন, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইরান, সৌদি আরবসহ অনেক দেশে যেকোনও প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ ব্যক্তি অপরিচিতি রোগীর জন্য কিডনি দান করতে পারেন। ভারতে অনাত্মীয় ব্যক্তি অঙ্গ দান করতে চাইলে প্রত্যেক রাজ্যে নিবন্ধিত কমিটিকে জানাতে হয়। শ্রীলঙ্কাতেও একই অবস্থা বিদ্যমান।
আরএম/এসএমএম