রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশংকাজনক হারে বাড়ছে কলেরার প্রকোপ। আক্রান্ত হচ্ছেন স্থানীয়রাও।
কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় বলছে, এখন পর্যন্ত ১৯১ জনের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ১৩৩ জনের মধ্যে কলেরার জীবাণু পাওয়া গেছে।এরমধ্যে ৭৭ জনই রোহিঙ্গা।
কলেরার মহামারী আকার ধারণ করার আগেই নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছে প্রশাসন।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে বসবাস ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। কলেরার প্রকোপের আশংকায় গত এক বছরে সেখানে চারবার টিকা দান কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়। তাতেও হলো না শেষ রক্ষা।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, ক্যাম্পে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট অস্বাস্থ্যকর পরিবেশসহ নানা কারণে কলেরার বিস্তার ঘটছে।
কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর জানান, ৮ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পঞ্চমবারের মতো ক্যাম্পগুলোতে ১ থেকে ৫ বছর বয়সী ১ লাখ ৩৮ হাজার শিশুকে আবারও দেয়া হবে কলেরার টিকা।আগামি ৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের বেশি বয়সী সব স্থানীয়কেও কলেরার টিকা দেয়া হবে। যাতে কলেরা উখিয়া এবং টেকনাফের স্থানীয়দের মধ্যে ছড়াতে না পারে।
টিকাদানের পাশাপাশি নানা সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড চালানোর কথা বলছে দেশি-বিদেশি বেসরকারি সংস্থাগুলো। টিকাদানের এ কার্যক্রমে ক্যাম্পে ১ হাজার ৪০০টি দল আর স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝে ১১০টি দল কাজ করবে।
এসএমএম