• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০১৯, ০২:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৬, ২০১৯, ১০:২৬ পিএম

হকি নির্বাচন: সাদেকের পরিচিতি সভায় ২ প্রতিমন্ত্রী!

হকি নির্বাচন: সাদেকের পরিচিতি সভায় ২ প্রতিমন্ত্রী!
হকি ফেডারেশনের নির্বাচনকে সামনে রেখে সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী আব্দুস সাদেকের আহ্বান করা পরিচিতি সভায় প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।। ফটো: চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর

 

বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাচনকে সামনে রেখে সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী আব্দুস সাদেকের আহ্বান করা পরিচিতি সভায় যোগ দিয়েছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। পরিচিতি সভায় ২ প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত থাকায় সরকারি প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনেছে আরেক প্রার্থী মমিনুল হক সাঈদ পক্ষ।

সোমবার (২৫ মার্চ) ঢাকা ক্লাবে এই পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাসির, বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং সম্প্রতি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক হকি ফেডারেশনের কাউন্সিলর হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া এটিএন বাংলা এবং এটিএন নিউজের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান।

ইতোমধ্যে হকি ফেডারেশন নির্বাচনকে ঘিরে দুইভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন হকি সংগঠকরা। জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ সাধারণ সম্পাদক পদে সমর্থন দিয়েছে আব্দুস সাদেককে। অপরদিকে, মমিনুল হক সাঈদের পক্ষে নিজের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন ঊষা ক্রীড়াচক্রের সাধারণ সম্পাদক। সব মিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে এখন হকি ফেডারেশনের নির্বাচন এখন গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। 

জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি আ জ ম নাসির এবং প্রধান উপদেষ্টা নাজমুল হাসান পাপন প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন তাদের চাওয়া। তারা চাইছেন আব্দুস সাদেককে সাধারণ সম্পাদক রেখে হকি ফেডারেশনে সমঝোতার কমিটি।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আ জ ম নাসির বলেন, সাদেক ভাই হকিতে বড় মাপের কিংবদন্তি খেলোয়াড় ছিলেন। উনাকে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে রেখেই সাধারণ সম্পাদক পদে আমরা একটা কমিটি করবো এবং সেভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।

গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ক্রিকেট বোর্ডে যেরকম একজন সভাপতি আর বাকি সবাই ডাইরেক্টর; হকিতেও গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে আমার মনে হয় এমনটাই হওয়া উচিৎ। এখানে একটা পদের জন্য মারামারি-দলাদলি করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

এদিকে, আব্দুস সাদেকের ডাকা পরিচিতি সভায় ২ প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতির মাধ্যমে হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনেছে মমিনুল হক সাঈদ পক্ষ। সাদেককে সাধারণ সম্পাদক রেখে সমঝোতার কমিটি করাকে সাঈদের পক্ষ হাস্যকর বলে অভিহিত করছে।

ঊষা ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক রশিদ শিকদার চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, সাদেক ভাইকে সাধারণ সম্পাদক পদে রেখে যদি সমঝোতার কমিটির প্রস্তাব দেয়া হলে এটা হাস্যকর ছাড়া আর কিছু না। যদি কেউ ঐক্যমত্যের কথা বলেন তাহলে আপনি সবাইকেই ডাকবেন। সকল কাউন্সিলরদের ডেকে আপনি তাদের মতামত শুনবেন, জানবেন, বুঝবেন। তারপর ঐক্যমত্য হবে।   

প্রসঙ্গত, হকি ফেডারেশনের আব্দুস সাদেকের আহ্বান করা পরিচিতি সভায় সমঝোতার কমিটির কথা বলা হলেও মমিনুল হক সাঈদ পক্ষের কাউকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। 

আগামী ৮ এপ্রিল হকি ফেডারেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সময় যত ঘনিয়ে আসছে, নির্বাচনকে ঘিরে পরিস্থিতি যেন ততই ঘোলাতে হয়ে উঠছে। 

সাদেকের ডাকা পরিচিতি সভার আগেই বিরোধিতা করেছিলেন স্বয়ং ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর পরিচিতি সভায় উপস্থিতি পরস্পর বিরোধী অবস্থান তৈরি করেছে, তা এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। 

আরএস 

আরও পড়ুন