• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০১৯, ১০:৫৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৮, ২০১৯, ১০:৫৪ এএম

অ্যাশেজ সিরিজ

শেষদিনের রোমাঞ্চের অপেক্ষায় লর্ডস টেস্ট

শেষদিনের রোমাঞ্চের অপেক্ষায় লর্ডস টেস্ট
লর্ডস টেস্টে জমে উঠেছে ব্যাট-বলের লড়াই। ফটো : টুইটার

ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসে চলমান অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিন এবং তৃতীয় দিনের দুই সেশনের খেলা বৃষ্টির কারণে হতেই পারেনি। বাকি যে সময়টুকু হয়েছে, তাতে উত্তাপ ঠিকই ছড়িয়েছে। যা এখন ম্যাচের শেষ দিনের রোমাঞ্চকর মুহূর্তের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।

টসে হেরে আগে ব্যাট করা ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২৫৮ রান করে। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ২৫০ রানে থেমে গেলে স্বাগতিকরা ৮ রানের লিড পায়। টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে ৯৬ রান তুলতে পেরেছে। তাদের লিড ১০৪ রানের এবং হাতে আছে ৬ উইকেট। 

শনিবার (১৭ আগস্ট) টেস্টের চতুর্থ দিন ৪ উইকেটে ৮০ রান নিয়ে অস্ট্রেলিয়া তাদের খেলা শুরু করে। দলীয় ১০২ রানের মাথায় ম্যাথু ওয়েড মাত্র ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ষষ্ঠ উইকেটে স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন টিম পেইন। ২৩ রান করা পেইনকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন টেস্ট অভিষিক্ত জোফরা আর্চার।

অজিদের রান যখন ২০৩। ঠিক তখনই লর্ডসের দর্শকরা অনাকাঙ্ক্ষিত এক দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে গেলেন। জোফরা আর্চারের ছোড়া বাউন্সার সরাসরি স্মিথের বাঁ কানের নিচে আঘাত হানে। স্মিথ তাৎক্ষনিকভাবে মাটিতে পড়ে যান। এমতাবস্থায় অনেকের মনেই ফিলিপ হিউজের দুঃসহ স্মৃতি দোলা দিয়ে বসেছিল! 

জোফরা আর্চারের ছোড়া বাউন্সারে আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে যান স্টিভেন স্মিথ। ফটো : বিবিসি 

এ সময় অস্ট্রেলিয়া দলের ফিজিও রিচার্ড শ মাঠে ছুটে গিয়ে স্মিথের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে দেন। স্মিথ ব্যক্তিগত ৮০ রানের মাথায় মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। মাত্র ৯ ওভার পরই পিটার সিডল আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারো ক্রিজে নামেন স্মিথ, প্রমাণ দেন স্পিরিট অব ক্রিকেটের। যদিও সেঞ্চুরি তার পাওয়া হয়নি। ৯২ রান করে তিনি ক্রিস ওকসের বল ছেড়ে দিতে গিয়ে এলবিডব্লিউর শিকার হন।

স্মিথের বিদায়ের পর অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস লম্বা হয়নি, পাওয়া হয়নি লিড। ২৫০ রানে থামে তাদের ইনিংস আর ইংলিশরা ৮ রানের লিড পেয়ে বসে।

ইংল্যান্ডের পক্ষে স্টুয়ার্ট ব্রড ৪টি, ক্রিস ওকস ৩টি, জোফরা আর্চার ২টি এবং জ্যাক লিচ একটি উইকেট পান।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ডকে বিপদে ফেলে দেন প্যাট কামিন্স। তাদের দলীয় ৯ রানের মাথায় জেসন রয়ের ফিরতি ক্যাচ দেয়ার পরের বলেই ইংলিশ অধিনায়ক জো রুটকে পেইনের গ্লাভসে বাধ্য করা কামিন্স হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। 

তৃতীয় উইকেটে ররি বার্নস ও জো ডেনলি গড়েন ৫৫ রানের জুটি। তবে এই দুইজনকেই ফিরিয়ে দেন পিটার সিডল। তাতে ৭১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। শেষ দিকে ১৬ রান করা বেন স্টোকস এবং ১০ রান করা জস বাটলারের অবিচ্ছিন্ন ২৫ রানের উপর ভর করে স্বাগতিকরা কোনোমতে দিন পার করে।

আরআইএস    
 

আরও পড়ুন