
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ওপেনার শারজিল খান শেষ পর্যন্ত স্পট ফিক্সিংয়ের কথা স্বীকার করে কুকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ২০১৭ সালে পাকিস্তান সুপার লীগে (পিএসএল) স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন শারজিল খান।
পুনরায় খেলায় ফিরতে হলে শারজিলকে দোষ স্বীকারের শর্ত দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তারই প্রেক্ষিতে পিসিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান।
ক্ষমা চাওয়ার পর শারজিল খানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে পিসিবি। এখন থেকে পেশাদার ক্রিকেট খেলতে তার আর কোনো বাঁধা-নিষেধ থাকলো না।
সোমবার (১৯ আগস্ট) পিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) আসিফ মাহমুদ বলেছেন, আমরা শারজিলের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তিনি তার কর্মের জন্য অনুশোচনা করেছেন। পিসিবি তার বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সচেতন এবং খেলাকে দুর্নীতি মুক্ত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শারজিলের উদ্ধৃতি দিয়ে এক বিবৃতিতে পিসিবি জানায়, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য আমি পিসিবি, আমার সতীর্থ, ভক্ত ও পরিবারের সবার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি। আমি ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি আশ্বাস দিচ্ছি যে, ভবিষ্যতে নিজের কাজের প্রতি আরও বেশি দায়িত্বশীল হবো।’
তিনি বলেন, পাকিস্তানের সব ক্রিকেটারকে পিসিবি দুর্নীতি দমন আইনকে কঠোরভাবে অনুসরণ করার জন্য স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, এতে কেবল ক্ষণিকের উপার্জনই পাবে। তবে এর পরিণতি মারাত্মক এবং ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। দুর্নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ডে সহায়তা করার জন্য আমি পিসিবির সঙ্গে একমত হয়েছি। আমি শিগগিরই ক্লাব ক্রিকেটে ফিরে আসবো।
২০১৭ সালে পিএসএলের আসরে ইসলামাবাদ ইউনাটেডের হয়ে খেলেছিলেন শারজিল। ব্যাটিংয়ের সময় বেশকিছু বল ডট করার জন্য জুয়াড়িদের কাছ থেকে দুই মিলিয়ন রুপি নিয়েছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে শারজিলকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে পিসিবি।
আরআইএস