• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ১২:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ১২:৩৯ পিএম

ফাহিম ভাই অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করতে জানেন না : শামসুল 

ফাহিম ভাই অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করতে জানেন না : শামসুল 

দীর্ঘ ১৪ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ন্যাশনাল গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজারের পদ থেকে নাজমুল আবেদীন ফাহিম পদত্যাগের বিষয়টি অনেকেই মন থেকে মেনে নিতে পারছে না। আবার অনেকের মতে, নিজের দায়িত্ব পালনে অতিমাত্রায় সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হওয়াতেই তিনি সরে গেছেন। যদিও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী জানিয়েছেন, ফাহিমকে রেখে দিতে চায় বিসিবি। তবে বোর্ডের সেই চাওয়া আদৌ পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। 

নাজমুল আবেদীন ফাহিমের বিসিবি থেকে সরে যাওয়া প্রসঙ্গে দৈনিক জাগরণকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জনপ্রিয় টিভি এবং বেতার ধারাভাষ্যকার শামসুল ইসলাম বলেন, ফাহিম ভাই কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করতে জানেন না। মুখ বুজে দুটো পয়সার জন্য উনি কাজ করেন না। বরং উনি কাজটা ভালবেসেই করেন। তিনি কাজের সুষ্ঠু পরিবশ না পেয়ে বিসিবি থেকে বিদায় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে আমি এতটুকু অবাক হইনি।

তিনি বলেন, আমি নাজমুল আবেদীন ফাহিম ভাইকে ব্যাক্তিগতভাবে চিনি এবং জানি। তিনি একজন নিপাট ভদ্রলোক এবং সজ্জন মানুষ। ক্রিকেটের একজন মেধাবী কারিগর। দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারে তিনি অজস্র প্রতিভাবান ক্রিকেটার তৈরি করে পর্দার আড়াল খেকে আমাদের ক্রিকেটের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছেন। তিনি দেশের ক্রিকেটে অবদান রাখতে চান বলেই দেশ-বিদেশের একাধিক লোভনীয় প্রস্তাব অবলীলায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। 

জনপ্রিয় এই ধারাভাষ্যকারের মতে, এর আগে প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ না পেয়ে বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। বর্তমানে সেখানে কোনো ভদ্র, সজ্জন, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, মেধাবী মানুষের কাজ করার পরিবেশ নেই বলেই এমনটা ঘটছে। এদেশে যোগ্য, মেধাবী ও দক্ষ দেশী কোচ-ম্যানেজার এবং কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে বরাবরই এক ধরনের উদাসীনতা পরিলক্ষিত হয়েছে। 

দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্তদের কঠোর সমালোচনা করে জনপ্রিয় এই ধারাভাষ্যকার বলেন, ক্রিকেট মাঠে নিয়মিত হারতে থাকলে, কিম্বা অপেক্ষাকৃত দূর্বল দলের কাছেও যখন আপনি নিয়মিত হারবেন, তখন চারপাশে আলোচনা এবং সমালোচনা দুটোই হবে। পরাজয়ের দায় ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সকলকেই নিতে হবে। আমরা বাংলাদেশি জনগণ দলমত ভুলে শুধুমাত্র ক্রিকেটকে ঘিরে একই প্লাটফর্মে আসি বারবার। অথচ আমাদের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তা-ব্যক্তিরা প্রতিনিয়ত নিজেদের স্বেচ্ছাচারিতা এবং খামখেয়ালীপনা আমাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন।  তবে কি আমাদের ভালবাসার ইভেন্ট ক্রিকেটে মড়ক লাগলো?   

তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় নির্বাচকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। তা নাহলে কোনো খেলোয়াড় একটি ম্যাচ না খেলেই কেন স্কোয়াড থেকে বাদ পড়বেন? তখন প্রশ্ন জাগে, তাহলে ওই খেলোয়াড়কে স্কোয়াডে কেন নেয়া হয়েছিল? খোদ কর্তাব্যক্তিরা বলেন যে কোনো এক বিশেষ কারণে সৌম্য-লিটন-সাব্বিরের মতো খেলোয়াড়রা টেষ্টে খেলছেন। তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই নাকি এসব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। কর্তারাই যদি এমন অসহায় আত্মসমর্পণ করেন, তাহলে ভক্ত সমর্থকরা কোথায় যাবেন? 

সম্প্রতি বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন আসন্ন বিপিএলে কোনো ফ্রাঞ্চাইজি থাকবে না। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে শামসুল ইসলাম বলেন, বিপিএল হলো ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্ণামেন্ট। অথচ আসন্ন বিপিএলে নাকি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি থাকবে না! তাহলে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কীভাবে? এটা কেমন সিদ্ধান্ত হলো? 

আরআইএস 

আরও পড়ুন