• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯, ০৯:২০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯, ০৯:২০ এএম

শিরোপা জিততে সেরাটা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ  

শিরোপা জিততে সেরাটা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ  

আজ ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বাদে শিরোপা জয়ের সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। লীগ পর্বের শেষ দুই ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসী সাকিব বাহিনী ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজের ট্রফি জয়ের জন্য মুখিয়ে আছে। 

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে লড়বে বাংলাদেশ। 

ফাইনাল ম্যাচের জন্য চট্টগ্রামে শেষ পর্বের জন্য দেয়া স্কোয়াডে কোনো পরিবর্তন আনেনি বিসিবি। ঢাকায় প্রথম পর্বে দুই ম্যাচের প্রথমটিতে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে জয় পেলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে যায় বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে হারের পর চট্টগ্রাম পর্বের বাংলাদেশ দলে আনা হয় পাঁচটি পরিবর্তন। এরপর বাকি দুই ম্যাচে জয় পায় টাইগাররা। তাই ফাইনালের স্কোয়াডেও সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। 

৬০-৭০ দিলে ফাইনালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তরুণ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তিনি জানান, আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে চায় টাইগাররা।

লীগ পর্বের শেষ ম্যাচে পাঁচ বছর পর টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের ফলে ফাইনালের আগে নিজেদের আত্মবিশ্বাসটা বাড়িয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। নিয়ম রক্ষার ম্যাচ হলেও এই জয়ের ফলে দল ছন্দ ফিরে পেয়েছে বলেই দাবি করেছেন টাইগার অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তার ভাষ্য, জয় সব সময়ই আত্মবিশ্বাস জোগায়। ওদের সঙ্গে হিসাবি ক্রিকেট খেলতে হবে, তা আগেই বলেছিলাম। 

তবে ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে টাইগারদের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘আমরা এখনও নিখুঁত ক্রিকেট খেলতে পারিনি। কিছু কিছু জায়গায় আমরা ভালো ছিলাম, কিছু ক্ষেত্রে গড়পড়তা। আমরা এখনও সেরা খেলাটা দেখানোর পথ খুঁজছি। আফগানিস্তান অবশ্যই ভালো দল। তবে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেললে আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারি। সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে তাই বিস্ময়ের কিছু নেই। আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে আমাদের স্কিল ও মানসিকতা একবিন্দুতে মেলাতে পারা, যেন আফগানিস্তানের মতো দলকে হারাতে পারি। সেটি করতে পারলে বিস্ময়ের কিছু হবে না।

টাইগার সমর্থকরাও বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন যে, আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে জেতা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব। তাই ম্যাচের আগের দিন সোমবার থেকেই দেখা যায় টিকিট প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড়। সকাল থেকেই মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের টিকিট বুথে দেখা যায় ক্রিকেটপ্রেমীদের ভিড়। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টিকিট বিক্রির কথা থাকলে দেরি করে শুরু হয় টিকিট বিক্রি। নির্ধারিত সময়ের আগে থেকেই টিকিট প্রত্যাশীরা ভিড় জমাতে শুরু করেন। টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় সামলাতে নিরাপত্তাকর্মীদের বেশ হিমশিম খেতে হয়।

পক্ষান্তরে, ফাইনালে জয় ছাড়া অন্যকিছুই ভাবতে চাইছে না আফগানিস্তান। নিজের দলের শক্তিমত্তার কথা জানান দিতে দলটির অধিনায়ক রশিদ খান বলেন, আমাদের বেশ কিছু ভালোমানের স্পিনার রয়েছেন। যেমন মুজিব-উর রহমান, মোহাম্মদ নবি। এছাড়া রয়েছেন শরাফউদ্দিন আশরাফ। তিনি বাঁ-হাতি স্পিনার এবং বেশ ভালো একজন অলরাউন্ডার।

তিনি বলেন, আমরা চট্টগ্রামে দুই ম্যাচেই হেরেছি। তবে আমরা আবার ঢাকায় ফিরে এসেছি। যেখানে দুই ম্যাচই জিতেছিলাম। আমরা এই ব্যাসিক নিয়েই এখন কাজ করতে চাই একই সঙ্গে ক্রিকেট উপভোগ করতে চাই। এছাড়া আমরা কিছু নতুন খেলোয়াড়কে সুযোগ করে দিতে চাই। যদিও, এটা ফাইনাল এবং আমরা চাই শক্তিশালী একটি দল নিয়ে মাঠে নামতে। কারণ, প্রতিপক্ষ খুবই শক্তিশালী। মোট কথা, ঢাকায় প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের ধারাবাহিকতাই ধরে রাখার লক্ষ্য আমাদের। 

ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, মিরপুরের কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা নাকি সামান্য ঘাস রেখেই উইকেট তৈরি করেছেন। ম্যাচের আগের দিন রাসেল ডমিঙ্গো ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন টাইগার একাদশে থাকতে পারে ৪ পেসার। অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনসহ মোট ৮ ব্যাটসম্যান নিয়ে সাজানো হতে পারে দল। এমনটি হলে সাব্বির রহমানের পরিবর্তে দলে আসতে পারেন পেসার রুবেল হোসেন। আফগান একাদশে শেষ পর্যন্ত রশিদ খান না থাকলে তার পরিবর্তে চলে আসতে পারেন বাঁ হাতি স্পিনার শারাফুদ্দিন আশরাফ। 

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হতে পারে। বেলা ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা শতকরা ৩০ ভাগ থাকলেও ম্যাচ শুরুর সময় তা ২৫-২৭ ভাগে নেমে আসবে। বৃষ্টি বাগড়া দেয়ার সম্ভাবনা থাকলেও ম্যাচ পণ্ড হওয়ার শঙ্কা নেই। 

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ : নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন, শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, সাব্বির রহমান/রুবেল হোসেন। 

আরআইএস 
 

আরও পড়ুন