‘কৃষ্ণ করলে লীলাখেলা, আমরা করলে দোষ’ বাংলায় বহুল প্রচলিত প্রবাদ এটি। এই মুহূর্তে ক্রিকেটাঙ্গনের মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বোধ হয় এই প্রবাদটি মনে করছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। কেন? কারণ বিসিবির দ্বিমুখী নীতি।
২০১৩ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের দ্বায়ে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন তিনি। সে সময়ে তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল ও তদন্ত কমিটি গঠনের আগেই তাকে শাস্তি দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বক্তব্য তখন প্রশংসাও পেয়েছিল বেশ।
তিনি ওই সময় বলেন, ‘হতে পারে তার ট্র্যাইবুন্যাল চলবে কিন্তু তাই বলে আমাদের সিদ্ধান্ত থেমে থাকবে না। কারণ আমি জানি না ট্র্যাইবুন্যাল কত সময় নেবে, ট্র্যাইবুন্যালের পর কী হবে। বাংলাদেশে এই ভবিষ্যৎগুলো আমি জানি না। নির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার জন্য আমরা অপেক্ষা করবো না।’
ওই সময়ে বোর্ড পরিচালক ছিলেন লোকমান হোসেন ভূইঁয়া। সম্প্রতি ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে অভিযুক্ত হয়ে বর্তমানে রিমান্ডে আছেন তিনি। কিন্তু তার ক্ষেত্রে আশরাফুলের বিপরীত অবস্থানে রয়েছে বিসিবি। মাদকের মামলায় দু’দফা রিমান্ডে যাওয়ার পরও বিসিবি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।
এমনকি এখনো বিসিবির ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ ও পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দায়িত্ব রয়েছেন লোকমান। আশরাফুলের ব্যাপারে তদন্ত কমিটির অপেক্ষা না করলেও বন্ধু লোকমানের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তারও যথেষ্ট নয় বিসিবি সভাপতি পাপনের কাছে।
লোকমানের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘লোকমান ক্লাবে জুয়ার ব্যাপারে অভিযুক্ত হয়েছে। যদি ক্যাসিনোর সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা থাকে, তাহলে সে শাস্তি পাবে। কিন্তু বোর্ড এই মুহূর্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। যদি তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমানিত হয়, তখন সে অনুযায়ী বিসিবি পদক্ষেপ নিবে।’
এমএইচবি