• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০১৯, ০৮:৩৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৭, ২০১৯, ০৮:৪০ পিএম

শামির কাছ থেকেও যদি বাংলাদেশের পেসাররা শিখতো...!

শামির কাছ থেকেও যদি বাংলাদেশের পেসাররা শিখতো...!
বাঁ থেকে তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান। সংগৃহীত ছবি

পেস বোলার নেই, থাকলে সুইং নেই, সুইং থাকলে নেই গতি আর গতি থাকলে নেই ভ্যারিয়েশন। এ যেন বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের চিরায়ত দৃশ্য। অদ্ভুত এক গোলকধাঁধায় আটকে রয়েছে একটা দেশের পেস বোলিং ইউনিট। যে কারণে সাদা পোশাকে দেশের মাটিতে নামতে হয় কোনো পেসার ছাড়া। বিদেশে গেলেই সংখ্যাটা বাড়িয়ে করতে হয় অন্তত তিন। 

সমস্যাটা আসলে কোথায়? দেশের পেস বোলারদের এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের দায়টা কার? কোচিং স্টাফের? না নিশ্চয়ই। খেলোয়াড়ি জীবনে কিংবদন্তি থাকা পেসার কোর্টলি ওয়ালশ বাংলাদেশে এসে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়ে চাকরি হারান। তা হতেই পারেন, ক্রিকেটার হিসেবে সফল হলেই যে কোচ হিসেবে সফল হবেন এমনও তো কথা নেই। 

কিন্তু খেলোয়াড়রাই বা কী করেছেন নিজেদের উন্নতির জন্য? অমিত সম্ভাবনা আর কাটারের জালে বিদ্ধ করে যে মোস্তাফিজের স্বপ্নের মতো অভিষেক। তিনি এখন শেষ দিকে এসে উইকেট নিয়ে নিজের দ্বায় সারাচ্ছেন। অথচ তার সঙ্গের বুমরাহ-রাবাদারা এখন বিশ্ব ক্রিকেটে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজেদের। শুধু একজন পেসারের জন্যই নয়। তাসকিন, রাহী, রুবেলদেরও তো একই অবস্থা।

অথচ চাইলেই দেশের ক্রিকেটাররা শিক্ষা নিতে পারেন পাশের দেশ ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামির কাছ থেকে। বিশাপত্তাখামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০৩ রানে জয় দিয়ে টেস্ট সিরিজ শুরু করেছে ভারত। ওই ম্যাচ জয়ে বড় ভূমিকা ছিল পেসার মোহাম্মদ শামির। দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জয়ে বড় অবদান রেখেছেন তিনি। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুই টেস্টেও ৯ উইকেট পেয়েছিলেন ভারতীয় এই পেসার।  

উপমহাদেশের মাটিতে পাঁচ উইকেট পাওয়া যেকোনো পেস বোলারের জন্যই অনেক বড় প্রাপ্তি। তবে তার জন্য কম হিসেব কষতে হয়তি তাকে। পরিকল্পনা মাফিক বোলিংয়ের ফলই যে পেয়েছেন শামি, তা বুঝা যায় তার কথা থেকেই। 

তিনি বলেন, ‘উইকেট স্লো ও নিচু হওয়ায় এখানে ব্যাট করাটা কঠিন ছিল। আমাদের পরিকল্পনা ছিল দুই ফাস্ট বোলার যেন শুধু স্টাম্পকেই লক্ষ্যবস্তু বানায়। বিগত চার পাঁচ বছর ধরেই আমরা একে অপরকে এভাবেই সহযোগিতা করে আসছি। দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা বৈচিত্রময় বাউন্স ও রিভারর্স সুইপ থেকে সুবিধা পেয়েছি। আমরা অস্বস্তিতে থাকা ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বল করেছি স্টাম্প লক্ষ্য করে। এর ফলও আমরা পেয়েছি। আমরা যত বেশি স্টাম্পে বল করবো তত বেশি ব্যাটসম্যানকে শিকারে পরিণত করতে পারব।’

ক্রিকেটের সেই পুরনো যুগ চলে গেছে বহু আগেই। শত শত ক্যামেরা আর প্রযুক্তিতে চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ হয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজের পারফরম্যান্স টিকিয়ে রাখাটাই এখন ক্রিকেটারদের বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের পেসররা তা পেরে ওঠছেন না কেউই। শামিকে অনুসরণের দরকার নেই, কিন্তু তার কথাটা তো শুনাই যায়!

এমএইচবি

আরও পড়ুন