• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০১৯, ০৫:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৫, ২০১৯, ০৫:৩১ পিএম

বাংলাদেশ-ভারত দ্বৈরথ : সুখস্মৃতির তিন ম্যাচ

বাংলাদেশ-ভারত দ্বৈরথ : সুখস্মৃতির তিন ম্যাচ
অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার নেতৃত্বেই আজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ছবি : বাফুফে

বাংলাদেশ-ভারত মহারণ আজ কলকাতার সল্ট লেকে, ‘বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন’ স্টেডিয়ামে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এই ম্যাচ নিয়ে পুরো শহর জুড়ে উত্তেজনার শেষ নেই। চার ঘণ্টার মাথায়ই শেষ হয়ে গেছে ম্যাচের সব টিকেট। কলকাতা জুড়ে কেবলই ফুটবল উৎসবের রঙ। বাংলাদেশেও এই ম্যাচ নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। 

দেশের ফুটবলের অন্যতম বড় এই ম্যাচটির আগে দেখে নেয়া যাক অতীত ইতিহাসে কেমন ছিল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যেকার লড়াই। এ পর্যন্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রটির বিপক্ষে ২৮ বার মাঠে নেমেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। যেখানে ৩ জয়, ১০ ড্রয়ের সঙ্গে হেরেছে ১৫ ম্যাচ।

দেশের ফুটবলের অন্যতম বড় এই ম্যাচটির আগে দেখে নেয়া যাক অতীত ইতিহাসে কেমন ছিল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যেকার লড়াই।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসটা অবশ্য বেশ পুরনো। স্বাধীনতার ৭ বছর পরই প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামে বাংলাদেশ। ১৯৭৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর এশিয়ান গেমসে ভারতের কাছে ৩-০ গোলে হেরে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। 

প্রথম ম্যাচ খেলার প্রায় এক দশক পর ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ড্র করে বাংলাদেশ। ১৯৮৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এএফসি এশিয়ান গেমসে প্রথমবারের ভারতের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে লাল-সবুজের দল। 

এর তিন বছর পরই অবশ্য ভারতের বিপক্ষে প্রথমবার জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ। রুমি রিজভী কালিমের জোড়া গোলে ১৯৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় ভারতের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সেই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা কালিম ২০ ও ৭৫ মিনিটে দুটি গোল করেন।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয়টা আসে ১৯৯৯ সালের ২ অক্টোবর। সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন গেমসের সেই ম্যাচে ৬৪ মিনিটে বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন সাজউদ্দিন টিপু। 

২০০৩ সাফে ভারতের বিপক্ষে জয়ের পর উল্লাসে ফেটে পড়েন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের বিপক্ষে এরপরের জয়টা এই দেশের ফুটবল ইতিহাসে চির অম্লান হয়ে থাকবে। ২০০৩ সাফের আগের চার আসরের মধ্যে তিনবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। গ্রুপ-পর্বে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও সেই ভারতকেই সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় জজ কোর্টানের দল। শুরু থেকেই ভারত আক্রমণ চালিয়ে খেলতে থাকলেও খেলার ৭৭ মিনিটে আরমানের নেয়া কর্নারে হেডে গোল করে বাংলাদেশকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন কাঞ্চন। তখন মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ বোধ হয় ফাইনালে পৌঁছেই যাচ্ছে। 

২০০৩ সাফের আগের চার আসরের মধ্যে তিনবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। গ্রুপ-পর্বে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও সেই ভারতকেই সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় জজ কোর্টানের দল।

কিন্তু ৮১ মিনিটে ভারতের আলভিটো ডি সুজার আচমকা এক শটে করা গোলে খেলায় ১-১ এ সমতা চলে আসে। শেষপর্যন্ত ১-১ গোলেই নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয়। তখন ছিল গোল্ডেন গোলের নিয়ম। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে যারা প্রথমে গোল করবে তারাই জয় লাভ করবে।

খেলার ৯৮ মিনিটে মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে কিছুটা দৌড়ে এসে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে দূরপাল্লার এক শট নেন মুন্না। তার অসাধারণ সেই শটে মহাকাঙ্ক্ষিত গোল্ডেন গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। এরপর সেই আসরে ফাইনালে মালয়েশিয়াকে হারিয়ে সাফে চ্যাম্পিয়নও হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ।

এরপর আর ভারতের বিপক্ষে জয় পায়নি বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করে লাল-সবুজ। আজ সল্ট লেকে যদি ভারতের বিপক্ষে জয়ের সংখ্যাটা চার করতে পারে জামাল ভূঁইয়ারা, তাহলে যুব ভারতীর গ্যালারিভর্তি দর্শকদের স্তব্ধ করে গুটিকয়েক বাংলাদেশি সমর্থকও নিশ্চয়ই উল্লাসে মাতবেন। সঙ্গে বাংলাদেশের কোটি কোটি ফুটবল প্রেমিকও। 

এমএইচবি/ এফসি

আরও পড়ুন