• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০১৯, ০৫:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৪, ২০১৯, ০৬:৪৬ পিএম

ফল আসেনি বাকি দুই ম্যাচে

ঢাকা মেট্রো ও সিলেটের ইনিংস ব্যবধানে জয়

ঢাকা মেট্রো ও সিলেটের ইনিংস ব্যবধানে জয়

চট্টগ্রামের হারটা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল দুই দলের প্রথম ইনিংসের পরই। অপেক্ষাটা শেষ হলো জাতীয় ক্রিকেট লীগের চতুর্থ রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে এসে। প্রথম ইনিংসে ৯৮ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রামের সংগ্রহটা ছিল আড়াই'শ ছুঁই ছুঁই। কিন্তু তাতেও এড়ানো যায়নি ইনিংস ব্যবধানের হার। এদিকে ঢাকা মেট্রোর মতোই বরিশালের বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে জিতেছে সিলেটও।

টায়ার-১ এর ম্যাচে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামকে ইনিংস ও ৬৪ রানে হারিয়ে জাতীয় লিগে দ্বিতীয় স্তর থেকে প্রথম স্তরে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে মার্শাল আইয়ুবের দল। আগে ব্যাট করা চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় মাত্র ৯৩ রানে। জবাবে সাদমানের ১৭৮ রানের ইনিংসে ৪০৩ রানের সংগ্রহ পায় মেট্রো। দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রাম ২৪৮ রানে থামলে ইনিংস ও ৬৪ রানের বড় জয় পায় ঢাকা মেট্রো। স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংসে শহিদুল ইসলাম চারটি, তাসকিন আহমেদ ও শরিফউল্লাহ নেন দুটি করে উইকেট।

এদিকে টায়ার-২ এর আরেক ম্যাচে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল সিলেট। আগে ব্যাট করে বরিশাল ১৬২ রানে গুটিয়ে যায়। সিলেট ৩২২ রান তুলে অলআউট হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশাল ১২৮ রানে অলআউট হলে ইনিংস ও ৩২ রানে জয় তুলে নেয় সিলেট।

বরিশালের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন নুরুজ্জামান। সিলেটের পেসার এবাদত হোসেন পান ৫ উইকেট।
সিলেটের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭৩ রান আসে ওপেনার শানাজ আহমেদের ব্যাট থেকে। বরিশালের মনির হোসেন তিনটি উইকেট পান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালের সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে সোহাগ গাজীর ব্যাট থেকে। ম্যাচ সেরা হন দুই ইনিংসে ৮ উইকেট তুলে নেওয়া এবাদত হোসেন।

টায়ার-২ এর দুই ম্যাচে ফলাফল আসলেও তৃতীয় দিনেও জয়-পরাজয় দেখেনি টায়ার-১ এর কোনো ম্যাচ। ঢাকায় রংপুরের বিপক্ষে জয় পেতে শেষ দিনে খুলনার প্রয়োজন ৭৩ রান, হাতে আছে ৫ উইকেট। প্রথম ইনিংসে আব্দুর রাজ্জাকের ঘূর্ণিতে ২২৪ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর, জবাবে মেহেদি হাসানের সেঞ্চুরিতে ২৩৩ রান করে খুলনা। রংপুরের পক্ষে ৫ উইকেট পান রবিউল হক। 

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারও বল হাতে আগুন ঝরান খুলনার অধিনায়ক রাজ্জাক। ইনিংসে তার পাঁচ উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে রংপুর গুটিয়ে যায় ২১১ রানে। এরপর ২০৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৩০ রানেই ৫ উইকেট হারিয়েছে খুলনা। 

কক্সবাজারে টায়ার-১ এর আরেক ম্যাচে ঢাকা বিভাগের চেয়ে ইনিংস ও ১৬৮ রানে পিছিয়ে রয়েছে রাজশাহী বিভাগ। প্রথম ইনিংসে রাজশাহীর করা ২৩০ রানের জবাবে তাইবুর রহমান, শুভাগত হোম অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরীর তিন সেঞ্চুরিতে ৪৭৫ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে ঢাকা। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে তৃতীয় দিনশেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান করেছে রাজশাহী।

এমএইচবি

আরও পড়ুন