• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০১৯, ০২:২৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৪, ২০১৯, ০২:৫০ পিএম

গোলাপি নয়, ইডেনে আড়াই দিনে বাংলাদেশ ভাসালো বেদনার রঙ নীলে

গোলাপি নয়, ইডেনে আড়াই দিনে বাংলাদেশ ভাসালো বেদনার রঙ নীলে
মুমিনুলের এই অসহায় দৃষ্টি কী পুরো ম্যাচেই বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি? ছবি : ইএসপিএন

ইডেনের সবটা জুড়ে ছিল গোলাপির আভা। কলকাতার পুরোটা মুড়ে দেয়া হয়েছিল ওই রঙে। চারদিকে সাজ সাজ রবে মুখরিত ছিল চারপাশ। কিন্তু তাতে যেন রীতিমতো জল ঢেলে দিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারররা। গোলাপি নয় তারা ভাসালেন বেদনার রঙ নীলে । 

ম্যাচের আগে গোলাপি জ্বরে সবকিছুর সঙ্গে ভেসে গিয়েছিল মাঠের ক্রিকেটও। মুখ্য হয়েছিল বাইরের উন্মাদনা, তাতেই মজে ছিলেন সবাই। যারা তা করেননি, তারাও বলেছিলেন বাংলাদেশ টিকবে অন্তত তিন দিন। মুখে বললেও তারাও কী আর ভেবেছিলেন, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা গোলাপি জ্বড়ে ভেসে ভুলে যাবেন ব্যাটিং আর বোলিং। ম্যাচ হারবেন মাত্র তিন দিনে, ইনিংস ও ৪৬ রানে। 

তাদের সে না জানা ঘটনাটাই ঘটলো। টস ছাড়া দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে আর কিছুই জিতলো না বাংলাদেশ। ভাগ্য পরীক্ষায় জয়ী হয়ে মুমিনুলের নেয়া ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তও এখন কাঠগড়ায়। ম্যাচের তো আসলে যবনিকাপাত হয়েছিল প্রথম ইনিংসেই।

যেখানে বাংলাদেশ গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১০৬ রানে। ইশান্ত-উমেশ-শামিদের বলে অসহায় চোখে নিজেদের স্টাম্প উপড়ে যেতে দেখছিলেন ইমরুল-মুমিনুল-মিঠুনরা। গোলাপি জাদুর বিভ্রমে যারা ভুলে গিয়েছিলেন নিজের অফস্টাম্পটা ঠিক আছে কোথায়। 

ওই ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সাদমান ইসলাম। তার ব্যাটিংয়ে খানিক সময় মনে হয়েছিল গোলাপি বল আসলে যত গর্জে তত বর্ষে না। তা যে ভুল তার প্রমান দিয়েছেন টানা তিন ব্যাটসম্যান ডাক মেরে। মুুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন আর মুশফিকুর রহিম তিনজনই ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগে। ভারতের তিন পেসারই কুপকাত করেছেন বাংলাদেশের ১০ ব্যাটসম্যানকে। ইশান্ত শর্মা ৫, উমেশ ইয়াদব ৩ আর মোহাম্মদ শামি পেয়েছেন ২ উইকেট। 

জবাব দিতে নেমে ভারতের ব্যাটসম্যানরা ‍বিশেষত বিরাট কোহলি দেখিয়েছেন বলের রঙ লাল কিংবা গোলাপি নয়, কালো হলেও ব্যাট চালাতে জানলে খেলতে সমস্যা নেই। লিটন দাসের কনকাশন সাব হিসেবে খেলতে নামা মিরাজসহ ১২ ব্যাটসম্যান মিলে যে রান করেছেন, ভারতীয় অধিনায়ক একাই করেছেন তার চেয়ে ৩০ রান বেশি। তার সংগ্রহ ১৩৬, সঙ্গে আজিঙ্কা রাহানের ৫১ রান। ভারতের প্রথম ইনিংসের রান তাই ৯ উইকেটে ৩৪৭।  

বাংলাদেশের পক্ষে আল আমিন হোসেন ও এবাদত হোসেন ৩ উইকেট আর আবু জায়েদ রাহী ২ এর সঙ্গে তাইজুলের ১ উইকেট। তাতেই তুলে নেয়া গেছে ভারতের ৯ ব্যাটসম্যানকে।  

দ্বিতীয় ইনিংসে সময় বদলালেও আগের সেই অবস্থা বদলায়নি। একদিনে যে সব বদলে ফেলা যাবে না, সেটা জানা কথা। কিন্তু যেটা যেত, সেই মানসিকতায়ও নেই বদল। তাই স্কোরকার্ডে যখন রান ১৩, তখনই নেই চার ব্যাটসম্যান। হারটা চলে আসতো দ্বিতীয় দিনেই। 

কিন্তু তা হতে দেননি দলের দুই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এই দুই জন মিলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। রিয়াদ রিটায়ার্ড হার্ড হলে সঙ্গীর বদল হলেও বাকি দিন পার করেন মুশফিকই। তবে তৃতীয় দিনের ঘণ্টখানেক পার হওয়ার আগে দলীয় ১৮৪ রানে ব্যক্তিগত ৭৪ রানে সাজঘরে ফেরত গেলে আর বেশিক্ষণ লাগেনি বাংলাদেশের অলআউট হতে। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৯৫ রানে। ম্যাচ হারে ৪৬ রানে।

এমএইচবি

আরও পড়ুন