• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ০৫:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ০৫:১৩ পিএম

সিলেটকে হারিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপিএল যাত্রা শুরু 

সিলেটকে হারিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপিএল যাত্রা শুরু 
ম্যাচ শেষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সিলেট থান্ডার্সের ক্রিকেটাররা তাদের অভিনন্দন জানান। ফটো : গাজী টিভি

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট থান্ডার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে আগে ব্যাট করতে নামা সিলেট থান্ডার্স ৪ উইকেটে ১৬২ রান করে। জবাবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। 

ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই দলীয় ৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় সুরমা পাড়ের দল সিলেট। রুবেল হোসেনের বলে নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে ধরা পড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রনি তালুকদার। দ্বিতীয় উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে ৪৬ রানের জুটি গড়েন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান জনসন চার্লস। ২৩ বলে ৭ চারের মারে ৩৫ রান করা বিপদজনক চার্লসকে বোল্ড করে চট্টগ্রাম শিবিরে স্বস্তি ফেরান স্পিনার নাসুম আহমেদ।

চার্লসের খানিক পর বিদায় নেন জীবন মেন্ডিস। ইনিংসের নবম ওভারে দলীয় ৬১ রানের মাথায় মাত্র ৪ রান করে তিনি রায়াদ এমরিটের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা চ্যাডউইক ওয়ালটনের হাতে ধরা পড়ে ফেরেন। 

চাপে পড়া সিলেটকে এরপর পথ দেখান ঝড়ো ব্যাটিং করে যাওয়া মোহাম্মদ মিঠুন। শান্তভাবে ব্যাট করে তাকে প্রয়োজনীয় সঙ্গ দিয়ে যান মোসাদ্দেক হোসেন। নাসুমের শেষ ওভারে তিনি ৩টি ছক্কার সঙ্গে নেন ৩টি ডাবলস। একই ওভারে মিঠুনের একটি ক্যাচ ছেড়ে দেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। পরের ওভারেই নাসির হোসেনকে এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে মাত্র ৩০ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলে নেন মিঠুন। 

ইনিংসের শেষ ওভারে রুবেলের বলে আউট হওয়ার আগে ১ চার ও ১ ছয়ের মারে ৩৫ বলে ২৯ রান করেন মোসাদ্দেক। আর মাত্র ৪৮ বলে ৪ চার ও ৫ ছয়ের মারে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ইনিংসে ৮৪ রান করে অপরাজিত থেকে যান মিঠুন। 

চট্টগ্রামের পক্ষে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন রুবেল হোসেন। এছাড়া নাসুম আহমেদ ও রায়াদ এমরিটের ১টি করে উইকেট পান।

জবাবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলীয় ২০ রানের মাথায় চতুর্থ ওভারের পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে নাজমুল ইসলাম অপুর স্পিন তোপে জুনায়েদ সিদ্দিকী এবং নাসির হোসেনের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায়। জুনায়েদ ৪ রান করলেও জীবন মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে নাসির গোল্ডেন ডাক মেরে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।

ব্যাট হাতে হাল ধরার চেষ্টা করা আভিশকা ফার্নান্ডো ২৬ বলে ৩৩ রান করে ক্রিশমার সান্টোকির বলে জীবন মেন্ডিসের তালুবন্দি হলে ৪২ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রামের আকাশে যেন বজ্রপাত ফেলতে থাকে সিলেট থান্ডার্স।। এর মাঝে বিপদের মাঝে দলকে টেনে নিতে ব্যর্থ রায়ান ব্রুল মাত্র ৩ রান করে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফিরলে কাঁপতে থাকা চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৬২ রান।

খাদের কিনারা থেকে চট্টগ্রামকে টেনে তুলতে যেন ব্যাট হাতে একেবারেই ভিন্ন রূপ ধারণ করেন ওপেনিংয়ে না নেমে চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা ইমরুল কায়েস। ক্যারিবীয় ক্রিকেটার চ্যাডউইক ওয়ালটনকে নিয়ে ক্রিজে ঝড় তুলে তিনি দলকে জয়ের বন্দরের একেবারে কাছেই নিয়ে যান। এবাদতের বলে আউট হওয়ার আগে স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিং করে ৩৮ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কার মারে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা ম্যাচ সেরা ইমরুল যেন বার্তা দিতে চাইলেন, তিনি এখনো জাতীয় দলে তামিমের যোগ্য সঙ্গী হতে এখনো মুখিয়ে আছেন।

ইমরুল সাজঘরে ফিরলেও চ্যাডউইক ওয়ালটন ৩০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কার মারে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। তার সঙ্গী ছিলেন দলের উইনিং শট খেলা ও ৫ রানে অপরাজিত থাকা নুরুল হাসান সোহান। তাতে ১ ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই চট্টগ্রাম জয় নিয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরে। 

সিলেটের পক্ষে নাজমুল ইসলাম অপু ২টি এবং ক্রিশমার সান্টোকির, এবাদত হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত একটি করে উইকেট পান। 

আরআইএস 

আরও পড়ুন