কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি।

শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরের দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এ মিছিল বের হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বিক্ষোভ মিছিল কাকরাইলের নাইটিঙ্গেলের মোড় হয়ে স্কাউট মার্কেট ঘুরে ফকিরাপুল অভিমুখে কিছুদুর এগিয়ে নয়াপল্টন মসজিদ ঘুরে আবার বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়।

মিছিলে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায়, মৎস্যজীবি দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, নীলফামারী জেলা বিএনপির আহবায়ক আলমগীর সরকার, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা বিএনপি, মৎস্যজীবী ও তাঁতী দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

মিছিল শেষে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে নিপুন রায়ের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে রিজভী আহমেদ বলেন, দেশে নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি আর চলতে দেয়া যায় না। স্বৈরশাসনের কষাঘাতে জনগণের মনে বিষাদঘন অবস্থা বিরাজমান। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটকিয়ে রাখা হয়েছে দস্যুবৃত্তির পন্থায়। তাকে চিকিৎসা না দিয়ে অসুস্থতাকে গুরুতর করার যাবতীয় ব্যবস্থা করে যাচ্ছে সরকার। বেগম জিয়া যাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সেই প্রহর গুণছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -’৭৫ এর হুবহু বাকশাল পুনঃপ্রর্বতনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য এক ভয়াবহ অশনিসংকেত। দেশে আরও বিপজ্জনক দুঃসময়ের অশুভ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য। গণতন্ত্র হত্যাই আওয়ামী লীগের আদর্শ। ক্ষমতায় এসে তারা গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন চালিয়ে জনগণকে বারবার ক্রীতদাস বানিয়েছে। বাকশাল সেই ক্রীতদাস বানানোরই ব্যবস্থা। গণতন্ত্র যাতে পুনরুজ্জীবিত হতে না পারে সে জন্য এদেশের জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম জিয়াকে বিনা দোষে, বিনা কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারান্তরালে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের কারাগারগুলো এখন শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কয়েদখানাতে পরিণত হয়েছে, যেখানে তিনি তার খেয়াল-খুশি মতো বিরোধী রাজনীতিবিদদেরকে বন্দী রাখতে পারেন। এই নব্য বাকশাল এর বিরদ্ধে এখন সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। নইলে দেশে ঘন অন্ধকার অমানিষা ঘনিয়ে আসবে। এজন্যই সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে হবে।

টিএস/এসএমএম