• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০১৮, ০৯:১৫ পিএম

পাবনায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২

পাবনায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২


পাবনা সদর উপজেলায় আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের আওরঙ্গবাদ বাজার এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় আবু সাইদ ও সুলতান খাঁ গ্রুপের মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত দুইজন সুলতান গ্রুপের সমর্থক।  সংঘর্ষে নিহতরা হলেন, সুলতান খাঁর বাবা উপজেলার ভাউডাঙ্গা আওরঙ্গবাদ গ্রামের মৃত গয়ের খাঁর ছেলে লস্কর খাঁ (৬৫) এবং একই গ্রামের আহেদ আলী শেখের ছেলে মালেক শেখ (৪৫)।

পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান এই সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করে করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আবু সাইদ ও জাসদ থেকে আওয়ামীলীগে যোগ দেয়া সুলতান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে হামলা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সোমবার সন্ধ্যায় আওরঙ্গবাদ বাজার এলাকায় সুলতানের বাড়ির সামনে বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে সাইদ গ্রুপের লোকজন সুলতানের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি শুরু হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর চারজনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মালেক শেখ ও লস্কর খাঁ নামের দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আহত দুই নারী পিয়া খাতুন (৩৫) ও হালিমা খাতুন (৫০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও আহত আরো কয়েকজন পুলিশি ঝামেলা এড়াতে অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে স্থানীয় বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে।

ভাঁড়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ বলেন, আসন্ন নির্বাচনে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করার জন্য সুলতান গ্রুপ এ সব কর্মকাণ্ড করছে। সুলতান কখনো আওয়ামী লীগ করেনি এবং জাসদের সমর্থক। সাইদ দাবি করেন, তার পক্ষের কেউ এ হামলার সঙ্গে জড়িত নয়।

সুলতান খাঁ’র সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে, এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কারা হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ।


জেডএস