মুসলিম ল বোর্ডের রিভিউ পিটিশন

ফের আদালতে যাচ্ছে বাবরি মসজিদ মামলার রায়

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০১৯, ০৯:৩৯ পিএম ফের আদালতে যাচ্ছে বাবরি মসজিদ মামলার রায়
বাবরি মসজিদ- যা ১৯৯২ সালে ভেঙে ফেলে উগ্র হিন্দু করসেবকরা - ছবি : বিবিসি

অযোধ্যার রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক মামলার রায়ে ন্যায়-বিচার হয়নি— এই মর্মে অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টের রায়ের রিভিউ পিটিশন দাখিল করছে আল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড।

রোববার (১৭ নভেম্বর) ভারতের লক্ষ্ণৌতে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠক শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

প্রকাশিত খবরের তথ্য মতে, ল বোর্ডের সদস্য এসওআর ইলিয়াস বৈঠকের পর আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘মসজিদের জন্য নির্দিষ্ট জমি ছাড়া অন্য কোনও জমি গ্রহণ আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, ফলে আমরা রিভিউ পিটিশন দাখিল করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অন্য যে জমির কথা বলা হয়েছে তা আমরা নেব না।’ 

সংগঠনের সম্পাদক জাফরিয়াব জিলানি বলেছেন, শরিয়ত মোতাবেক মসজিদের জমির মালিক আল্লাহ, তা অন্য কাউকে দেয়া যায় না। বোর্ড স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে মসজিদ ছাড়া অযোধ্যার অন্য কোথাও পাঁচ একর জমি গ্রহণ করা সম্ভব নয়। বোর্ড মনে করছে মসজিদের কোনও বিকল্প হতে পারে না। 

এরইমধ্যে জামিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারাও সুপ্রিমকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করবে। সংগঠনের প্রধান আর্শাদ মাদানি এ কথা বলেছেন। একইদিনে জামিয়াতের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে রিভিউ পিটিশনের ব্যাপারে সম্মতি দেয়া হয়েছে। এ রায়ের রিভিউ পিটিশনের ভাল-মন্দ খতিয়ে দেখবার জন্য শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) পাঁচ সদস্যের কমিটি প্রস্তুত করা হয়। সংবাদ সংস্থা এএনআই মাদানির এই বক্তব্য উপস্থাপন করে। এতে তিনি বলেছেন, জানি আমাদের পিটিশন ১০০ শতাংশ খারিজ হবে, তবুও আমরা আবেদন করব। এটা আমাদের অধিকার।

 বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) মাদানি বলেছিলেন, একবার মসজিদ নির্মিত হবার পর তা শেষ দিন পর্যন্ত মসজিদই থাকে। ফলে বাবরি মসজিদ মসজিদ ছিল, আছে, থাকবে। তবে সুপ্রিমকোর্ট যদি বলে বাবরি মসজিদ মন্দির ধ্বংস করে গঠিত হয়েছে, তাহলে আমাদের আর কোনও দাবি থাকে না। আমাদের দাবিই যদি না থাকে, তাহলে আমাদের আদৌ জমি দেয়া হবে কেন? এই কারণের সুপ্রিমকোর্টের রায় বিভ্রান্তিকর।

গত সপ্তাহে সর্বসম্মত রায়ে সুপ্রিমকোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের পথ খুলে দিয়েছে এবং কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে মসজিদ বানানোর জন্য পাঁচ একর জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের হাতে তুলে দিতে।

আদালতের রায়ের প্রতি নিজেদের সম্মান অটুট আছে দাবি করে মুসলিম ল বোর্ডের সদস্যরা জানান, সে সম্মান আছে বলেই আমরা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণে নিজেদের দাবি উপস্থাপন করতে যাচ্ছে।

এসকে/এসএমএম

আরও সংবাদ