• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০১৯, ০১:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৬, ২০১৯, ০১:৩৫ পিএম

বাবরি মসজিদ ফেরত চাই : ওয়াইসি

বাবরি মসজিদ ফেরত চাই : ওয়াইসি

ভারতের বহু প্রতীক্ষিত অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ও রাম মন্দির নিয়ে করা মামলার রায় এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে বাবরি মসজিদের বিরোধপূর্ণ জমি রামজন্মভূমি ট্রাস্টকে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগই। সেক্ষেত্রে নতুন একটি মসজিদ নির্মাণে মুসলিমদের জন্য আলাদা স্থানে ৫ একর জমি বরাদ্দের নির্দেশও দেওয়া হয়।

গত ৯ নভেম্বর সকালে ঐতিহাসিক এই রায় ঘোষণা করা হয়। যেখানে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং এস আব্দুল নাজির। খবর এনডিটিভির।

এ দিকে বিতর্কিত এই মামলাটির রায় ঘোষণার পর বাবরি মসজিদ ফেরত চাই বলে দাবি জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমেনের (এআইএমআইএম) প্রেসিডেন্ট আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। যদিও এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘আদালতের বরাদ্দকৃত পাঁচ একর জমি আমরা চাই না।’

তখন ‘আউটলুক ম্যাগাজিনকে’ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াইসি জানিয়েছিলেন, ‘যা কিছু ভারতীয় সংবিধান এবং বহুত্ববাদের বিরোধিতা করে আমি তার বিরোধিতা করবই। আমার জন্য সংবিধানই শেষ কথা। কেননা সংবিধানই আমাকে সেই অধিকার দিয়েছে যেখান থেকে শ্রদ্ধার সঙ্গে আমি চাইলেই সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করতে পারি।’

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এক টুইটে তিনি বলেছেন, ‘আমি আমার বাবরি মসজিদ ফেরত চাই। কেননা আমাদের যুদ্ধ কখনোই এক টুকরো জমির জন্য নয়। সকলের আইনি অধিকার যেন অক্ষুণ্ণ থাকে সে দিকে নজর রাখাই আমার কাজ। শীর্ষ আদালতও এরই মধ্যে জানিয়েছে মসজিদ তৈরির জন্য কোনো মন্দির ধ্বংস করা হয়নি। তাই আমি আমার মসজিদকে ফেরত চাই।’

ওয়াইসি আরও বলেন, ‘আদালতের এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট না। যদিও সংবিধানের প্রতি এখনো আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরা সকলের বৈধ অধিকার নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছি। দান কিংবা বরাদ্দ যাই হোক, এই পাঁচ একর জমি আমাদের প্রয়োজন নেই। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসোনাল ল’ বোর্ডের সঙ্গে আমি একমত, তারাও এই রায়ে সন্তুষ্ট নয়।’

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগইয়ের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের একটি যৌথ বেঞ্চ অযোধ্যা জমি বিতর্কের শুনানি সম্পন্ন করেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে সে সময় আর রায় ঘোষণা করা হয়নি।

যদিও তখন থেকেই গুঞ্জন উঠছিল আগামী ১৭ নভেম্বর অবসরে যেতে পারেন রঞ্জন গগই। যে কারণে এর আগেই যে কোনো দিন ঐতিহাসিক এই মামলাটির রায় হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল। মূলত এসব বিষয় বিবেচনা করেই অতি স্পর্শকাতর মামলার রায় ঘোষণার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে প্রশাসন।

অপর দিকে গত ৮ নভেম্বর রাতে প্রধান বিচারপতি গগই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এমনকি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ প্রধানের সঙ্গেও তার বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত সেই বৈঠকেই গগই অন্য বিচারকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তিনি অযোধ্যা মামলায় রায় ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেন।

এসকে