কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবার থেকে যদি প্যারোলের আবেদন করা হয় তাহলে সরকার বিবেচনা করবে,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যের জবাবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আপনার সরকার যদি পদত্যাগ পত্র দেয়, আমরা ভেবে দেখবো আপনাদের শাস্তি জেলে হবে না জেলের বাইরে হবে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র: আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী চালক দল।  

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এক সময় বাংলাদেশের গণতন্ত্র ছিল। কিন্তু এখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে এটা দাবি করা যাবে না। দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রকে কবর দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যারা ছাত্র রাজনীতি করেন, তারা জানেন গণতন্ত্রের কিছু শর্ত থাকে। তার মধ্যে একটি শর্ত হলো জনগণের ভোটের অধিকার। সে অধিকারটা কেড়ে নেয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনকে গোপাল ভাঁড়ের সঙ্গে তুলনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনের জন্য একটি নির্বাচন কমিশন আছে। কিন্তু সেই কমিশনে বসে আছে গোপাল ভাঁড়। 

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দুদু বলেন, ‘প্রশাসনের এতো খারাপ ন্যাক্কারজনক ঘটনা গত ৪৭ বছরে আমরা লক্ষ্য করিনি । প্রশাসনের ডিসি, এসপি, ইউএনও মিলে রাতে ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণকে নির্বাচনে যেতে নিষেধ করে এবং রাত্রেই ভোট শেষ করে দেয়। আর নির্বাচন কমিশন বলে ইভিএম থাকলে রাতে নির্বাচন হতো না, দিনেই হতো। এটা মানুষ না জানোয়ার ঠিক বুঝতে পারি না’।

দুদু আরও বলেন,প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরতন্ত্র একসঙ্গে চালাতে চাচ্ছে। অনেক আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ১ কেজি বেগুনে ১ কেজি লবণ দেবো না ২ কেজি দেবো  সেটা আমার ব্যাপার।আমি প্রধানমন্ত্রী কে বলি, ঘরে রান্না করা আর রাষ্ট্র পরিচালনা করা এক জিনিস না। এটা তাকে বুঝতে হবে ।

বিএনপির এই নেতা প্রধানমন্ত্রীতে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি ইডেন কলেজে পড়েছেন। দাবি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়েছেন। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। যে ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বা কলেজে পড়াশোনা করে তার ন্যূনতম জ্ঞান থাকা উচিত, গণতন্ত্র কি আর স্বৈরতন্ত্র কি?  

তিনি বলেন, এদেশের রাজনীতি ৪০ বছর ধরে আমরা দেখছি তো। শেখ মুজিবুর রহমান কোনো ছোট নেতা ছিলেন না। যত বিতর্কই থাক, তিনি খুব বড় মাপের নেতা ছিলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমানের মত নেতা বাংলাদেশে শতাব্দীতে আর একটা জন্মাবে কিনা সন্দেহ আছে।  

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন কবীরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিএম শাজাহানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল খন্দকার প্রমুখ।

টিএস/বিএস