• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৩০, ২০১৯, ০২:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৩০, ২০১৯, ০২:৪১ পিএম

নাটক বাদ দিয়ে নতুন নির্বাচন চান মির্জা ফখরুল 

নাটক বাদ দিয়ে নতুন নির্বাচন চান মির্জা ফখরুল 
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

 

নির্বাচনের নামে যে নাটক হয়েছে অবিলম্বে সে নির্বাচনকে বাতিল করে দিয়ে একটি নতুন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নতুন নির্বাচন করে সত্যিকার অর্থেই জনগণের আকাঙ্ক্ষা সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে। আজকের এই দিনে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

বৃহস্পতিবার (৩০মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধনকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এসব কথা বলে।

মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অকাল মৃত্যুতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে নিঃসন্দেহে দুর্বল করেছে, গণতন্ত্রকে দুর্বল করেছে। মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষাকে আশাহত করেছে। তার উত্তরসূরি খালেদা জিয়া এই পতাকাকে ধারণ করে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দর্শন আদর্শকে দীর্ঘকাল রাজনীতিতে স্বাক্ষর রেখেছেন। আজ তিনি কারাগারে আর সে শপথ নেবো যে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আর্দশকে অনুসরণ করে দেশনেত্রীকে মুক্ত করবো।

এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৮ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির নেতারা।  

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান তার স্বল্প রাজনীতিক  জীবনে এই দেশের অগ্রগতির জন্য কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের মৌলিক পরিবর্তন করেছিলেন। গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। বাক স্বাধীনতা দিয়েছিলেন এবং অর্থনীতিকে মুক্ত করেছিলেন। আজকে দুর্ভাগ্যের সঙ্গে দেখছি গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করা হয়েছে।  দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সমগ্র দেশে দুঃশাসন কায়েম করা হয়েছে।  

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, এই দিনে আমরা খালেদা জিয়া এবং গণতন্ত্র মুক্ত করার শপথ নিয়েছি। আমরা আন্দোলনে আছি, থাকবো। দেশে যতদিন আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আসবে না, মানুষের মুক্তি আসবে না ততদিন বিএনপি মানুষের সঙ্গে থাকবে এবং আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

শ্রদ্ধা জানানোর সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন,আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম,মোজাম্মেল হক মিন্টু, শফিকুর রহমান, ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক, সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম সহ-ছাত্রদল,যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল,কৃষক দল,শ্রমিক দলের হাজারো নেতাকর্মী।

টিএস/টিএফ