• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৩১, ২০১৯, ০৩:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৩১, ২০১৯, ০৩:২৭ পিএম

বিএনপির শপথে চাপের চেয়ে লোভ বেশি : গয়েশ্বর

বিএনপির শপথে চাপের চেয়ে লোভ বেশি : গয়েশ্বর
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

বিএনপির এমপিদের শপথ গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারি চাপের চেয়ে ব্যক্তিগত লোভ বেশি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ‘সরকারের রোগ বা বাতিক কথায় কথায় মামলা দেয়া’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকারের মামলার কারণে আমাদের দলে ফাঁকিবাজ নেতা তৈরি হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁতী দল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল যে আমরা সংসদে যাবো না। কিন্তু সংসদে গেলাম। এখানেই তো বুঝতে হবে দলের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির অভাব আছে। আমরা অবাধ্যকে বাধ্য করতে পারি না। কারণ তাদের দলের প্রতি ও রাজনীতির প্রতি অঙ্গীকার নেই। এই ৫ জন অবাধ্যকে যদি আমরা বাধ্য করতে পারতাম তাহলে আজকে আমাদের (বিএনপির) এই দুঃখ থাকতো না। মানুষের কাছেও আজকে জবাব দিতে হতো না। 
 
গয়েশ্বর বলেন, যারা শপথ নিয়েছেন তারা একদিনও বলছেন যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে সংসদে যাবো না? কারণ তাদের সংসদে যাওয়াটাই ছিলো জরুরি। খালেদা জিয়ার মুক্তিটা কিন্তু জরুরি না।
 
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, আন্দোলনে রক্ত দেয়ার আগে রেডক্রিসেন্টে রক্ত দেয়ার অভ্যাস করেন। নেতৃত্বের দুর্বলতা হলে বহু লোকের নেতৃত্ব আসে। যখন নেতার সংখ্যা বাড়ে তখন নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা সুষ্ঠু হয় না। ছোট দলের বড় নেতা নয় বড় দলের ছোট নেতা হয়েও লাভ আছে। 

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, আমরা বেশি কাজে ফাঁকি দেই। আমরা কমিটি করি। কিন্তু কেউ সংগঠন করি না। তবে একটি কমিটি মানেই সংগঠন না। আর নেতৃত্বের যেখানে দুর্বলতা হয় সেখানে বহুজনের দোষ থাকে। কমিটিতে যখন যুগ্ম আহ্বায়কের সংখ্যা বেশি এবং সদস্য সচিব থাকে... তখনই বুঝতে হবে- কেউ কাউকে মানে না। তার মানে অঙ্গীকারের অভাব। সংগঠনের চেয়ে নিজেকে সবাই বড় মাপের দেখতে চায়। 

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় খায়রুল কবির খোকন, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ২০ দলীয় জোট নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

টিএস/বিএস