• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০১৯, ০১:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৩০, ২০১৯, ০১:৪৮ পিএম

‘গুম’ হওয়া নেতাকর্মীর স্বজনদের কাছে যাচ্ছেন বিএনপি নেতারা

‘গুম’ হওয়া নেতাকর্মীর স্বজনদের কাছে যাচ্ছেন বিএনপি নেতারা

জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক ‘বিশ্ব গুম প্রতিরোধ’ দিবসে দলের গুম হওয়া নেতাকর্মীদের পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা। 

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিশ্ব গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে প্রথমেই বেলা ৩টায় রাজধানীর উত্তরখানে ছাত্রদল নেতা নিজামুদ্দিন মুন্নার বাসায় যাবেন বিএনপি মহাসচিব। এরপর রাজধানীর শাহীনবাগে গুমের শিকার তেজগাঁও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুমনের বাসায় ও পরে বনানীতে বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর বাসায় যাবেন তিনি। 

এছাড়া বিকাল ৫টায় পুরান ঢাকার বংশাল চৌরাস্তা ইসলামী ব্যাংক ভবনের নিচতলায় নিখোঁজ ছাত্রদল ও বিএনপি নেতৃবৃন্দের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। 

বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য চৌধুরী আলম, সাবেক সাংসদ সাইফুল ইসলাম হীরু, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির পারভেজ, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদল সভাপতি আমিনুল ইসলাম জাকির, তেজগাঁও থানা বিএনপির নেতা সাজেদুল হক সুমন, সাজেদুলের খালাতো ভাই জাহিদুল করিম, নাখালপাড়ার আবদুল কাদের ভূঁইয়া ও মাজহারুল ইসলাম রাসেল, মুগদাপাড়ার আসাদুজ্জামান রানা, উত্তর বাড্ডার আল আমিন, বিমানবন্দর থানা ছাত্রদলের সভাপতি এএম আদনান চৌধুরী ও কাওসার আহমেদ, সবুজবাগ থানা ছাত্রদলের সভাপতি মাহাবুব হাসান, ছাত্রদল নেতা খালিদ হাসান, সম্রাট মোল্লা, জহিরুল ইসলাম, পারভেজ হোসেন, মো. সোহেল, চঞ্চল, নিজাম উদ্দিন মুন্না, তরিকুল ইসলাম ঝন্টু, কাজি ফরহাদ, সেলিম রেজা পিন্টু, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন কুসুম সরকারের রোষানলে পড়ে গুম হয়েছেন।

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালে শুধুমাত্র জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যেই ১২ জন ব্যক্তি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দ্বারা গুমের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে ২ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন জীবন নিয়ে ফিরে এসেছেন, ৫ জন এখনও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন এবং বাকি ৪ জনের এখনও কোনও খোঁজ নেই। 
এরপর, গত চার মাসেও অনেক স্থানে আরও গুমের তথ্যও পাওয়া গেছে। গোটা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও গুম এক মহামারি আকার ধারণ করেছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিবাদ আর নিন্দার মুখেও থামছে না গুমের বিস্তার।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অধিকার সংগঠনগুলোর বরাত দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বাংলাদেশে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৫০৭ জন মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন। 

টিএস/টিএফ

আরও পড়ুন