সিলেটে হজরত শাহ জালাল (রহ.) ও হজরত শাহ পরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ কথা জানান।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, বুধবার সিলেটে হযরত শাহ জালাল (রহ.) ও হযরত শাহ পরান (রহ.) মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে আমাদের নির্বাচনী প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবো। সব সময় তাই করা হয়। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও তাই করতেন। আমরাও সেটা করবো ইনশাল্লাহ।

নজরুল ইসলাম খান জানান, বুধবার ড. কামাল হোসেন সাহেব যাবেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আমি (নজরুল ইসলাম খান) যাব। জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীও যাবেন।

নির্বাচন কমিশনের প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে বিএনপির ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও ঢাকা-১১ আসনে শামীম আরা নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণা শুরু করেন। এছাড়া ঠাকুরগাঁও-১ আসনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও নিজের নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেও তার গাড়ি বহর হামলার শিকার হয় বলে বিএনপি অভিযোগ করেছে। 

নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, জেএসডির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও ঢাকাসহ আশ-পাশের সকল ধানের শীষের প্রার্থী ও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতারা এই যৌথ সভায় অংশ নেন। 

এছাড়া ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী আফরোজা আব্বাস, ঢাকা-৪ আসনের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ, গাজীপুর- ২ আসনের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন সরকার, গাজীপুর-৪ আসনের প্রার্থী শাহ রিয়াজুল হান্নান, মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী আবদুল হাই, ঢাকা-১৪ আসনের প্রার্থী সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর সংবাদ ব্রিফিংয়ে নজরুল ইসলাম খান বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো জানান। যৌথসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীতে বিজয় র‌্যালি করবে ঐক্যফ্রন্ট। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সেদিন বিকালে ঢাকায় বিজয় র‌্যালি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগামী ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উপযাপন করবো আমরা। ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় আমরা মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করব।

১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে গিয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবো এবং সেখান থেকে ফিরে শেরে বাংলা নগরে শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করবো। বিকাল তিনটায় আমরা বিজয় দিবসের র‌্যালি করবো। এটি শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও বর্ণাঢ্য হবে।

এছাড়াও বিজয় দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয় এবং পুরানা পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয় আলোকসজ্জা করা হবে বলে জানান নজরুল ইসলাম খান। 

টিএস/আরআই