আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে যারা বিভিন্ন দোকান (সংগঠন) খুলে বসেছেন, এসব দোকান বন্ধ করতে হবে। কখনও বঙ্গবন্ধু, কখনও নেত্রীর ছবি, কখনও জয়ের ছবি ব্যবহার করে কিছু কিছু লোক রাজনীতির দোকান খুলে বসেছে। তাদের কোনও স্বীকৃতি নাই। এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।   

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তাঁতী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। 

তারেক রহমান লন্ডনে বসে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতেছে এমন অভিযোগ করেছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে ভবিষ্যতকে বিপণ্ণ মনে করে দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব এখন আবোল-তাবোল বলছে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২১ আগস্ট তারেক রহমানের জন্য বিব্রতকর। ১৫ আগেস্টর মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান আর তারেক রহমান ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড। আগস্ট আসলেই তাদের আঁতে ঘা লাগে। তারেক একেকবার একেক বিষয় নিয়ে কথা বলে। একবার বলে শেখ মুজিব স্বাধীনতাই চান নি। এখন আবার কাকে না কি জাতীয়তাবাদী জাতির পিতা বানাচ্ছে। সে (তারেক রহমান) টেমস নদীর পাড়ে বসে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।

ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে যারা মিথ্যাচার করে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে তারা নিক্ষিপ্ত হবে এবং সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে- এ রকম মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রচলিত আদালতে বিচার হয়েছে। ইতিহাস ও জনতার আদালতের বিচার শুরু হয়েছে। ভোটের রাজনীতিতে এই দল ক্রমে আরও সঙ্কুচিত ও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জাতির পিতার হত্যকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। আর তার দল শেখ হাসিনাকে খুন করতে চেয়েছিলো ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে। এই সত্য এখন জনগণের বিবেকের আদালতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। কাজেই বিএনপি অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে এবং ভবিষ্যতকে বিপণ্ণ মনে করে তারা এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করে দিয়েছে।

বিএনপির জন্য আগস্ট মাস অস্বস্তির মাস মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আগস্ট মাস একটি দলের জন্য এই মাস বিবেকের দংশনের মাস। এই মাস অস্বস্তির মাস। এই মাসে তাদের আমি বলবো, বিএনপির ইতিহাসের কঠিন সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে চরম অস্বস্তিতে দিন-যাপন করছে তারা। 

বিএনপি সত্যের মুখোমুখি হয়ে সত্যকে স্বীকার করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয়কে অমীমাংসিত করার জন্য এখনও প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। জাতির পিতার খুনিদের পুরষ্কৃত, পুনর্বাসন করেছে। সংবিধানে আইন করে এই খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করেছে।

চিন্তা, চেতনায় ও কর্মে বঙ্গবন্ধু আদর্শ অনুসরণ করে তার পরিবারের সদস্যের কাছ থেকে সততার শিক্ষা নিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপির যুবরাজ তারেক রহমানের মতো দুর্নীতির হাওয়া ভবন নেই বঙ্গবন্ধু পরিবারের কারোরই। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী কিন্তু তার বোন শেখ রেহানা লন্ডনে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাসে অফিসে যাতায়াত করেন। সততা লালন করে। নেত্রীর সন্তানদের কোনও হাওয়া ভবন নেই। শেখ রেহানার সন্তান চাকরি করে সৎ জীবন-যাপন করছেন। সুতরাং তাদের থেকে সততার শিক্ষা নিতে হবে। 

তাঁতী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শওকত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ সহ আরও অনেকে।

এএইচএস/এসএমএম