• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০১৯, ১০:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৫, ২০১৯, ১০:০৩ পিএম

রাত পোহালেই কৃষক লীগের সম্মেলন, আসছে নতুন নেতৃত্ব

রাত পোহালেই কৃষক লীগের সম্মেলন, আসছে নতুন নেতৃত্ব
কৃষক লীগের সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ তোরণ - ছবি : সংগৃহীত

রাত পোহালেই বুধবার (৬ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের জাতীয় সম্মেলন। প্রায় ৮ বছর পর হতে যাওয়া এ সম্মেলনকে ঘিরে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব, আর উৎসবের আমেজ। সেই সঙ্গে কৌতূহলের পারদ বাড়ছে- কারা আসছেন শীর্ষ নেতৃত্বে। 

কৃষক লীগ সূত্রে জানা গেছে, বাড়তে যাচ্ছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির কলেবর। একইসঙ্গে গঠনতন্ত্রের বেশ কিছু সংশোধনী আসতে পারে। প্রায় এক ডজন নেতাকর্মী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে ঘিরে এরইমধ্যে সক্রিয় থেকেছেন।  

সূত্র জানায়, সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যোগ দেবেন সংগঠনটির সাংগঠনিক নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সকাল ১১টা ৫ মিনিটে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন তিনি। 
এরপর ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ শীর্ষক ভিডি প্রদর্শনী দেখানো হবে। পবিত্র আল কোরআনসহ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। পরে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মেলনের ব্যাজ পরাবেন কৃষক লীগের মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার। ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেতো বঙ্গবন্ধু মরে নাই’, ‘কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচাও’ শীর্ষক তিনটি গানের পর পরিবেশন করা হবে কৃষকদের গ্রামীণ নৃত্য। পরে বায়ান্ন থেকে একাত্তর পর্যন্ত শহীদদের স্মরণে শোক প্রস্তাব থাকবে। এরপর সভাপতির স্বাগত ভাষণের পর সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করবেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদকদের। প্রধান অতিথির ভাষণের পর সম্মেলনের প্রথম পর্বে অনুষ্ঠান শেষ হবে। 

দ্বিতীয় সেশন শুরু হবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে, দুপুরের খাবারের বিরতির পর। এই সেশনে থাকবেন শুধু কাউন্সিলরা। স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্ন লেকের পূর্বদিকের উত্তর পাশে দক্ষিণমুখী করে লম্বায় ৯০ ফুট আর প্রস্থে ৩০ ফুট মূল মঞ্চ করা হয়েছে। এর সামনে ৯ ফুট প্রস্থ আর ৪২ ফুট দৈর্ঘ্যের আরেকটি মঞ্চ করা হচ্ছে। মূল মঞ্চের সামনে আরো একটি মঞ্চের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কৃষক লীগের সম্মেলনের সমন্বয়ক ও সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমীর চন্দ্র জানান, এখানে দুজন কৃষক, দুজন কৃষাণী মডেল হিসেবে থাকবেন কৃষি পণ্য নিয়ে। সামনে কৃষকের উৎপাদিত সব পণ্য থাকবে। আর মডেলরা এগুলো বিক্রির মুডে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী কাছারি ঘরে বসে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন কি না- তা তদারকি করছেন। আর দর্শকরা থাকবেন ক্রেতা। অর্থাৎ নেত্রী প্রবেশ করলেন কৃষকের কাছারি ঘরে। মঞ্চের ডানপাশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বাঁ পাশে সাংবাদিকের জন্য আলাদা দুটি মঞ্চ হচ্ছে। মঞ্চের সামনে থাকবে অতিথিদের বসার জায়গা। এরপরই থাকবে আগত কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের স্থান। সেখানে ২০ হাজার পর্যন্ত চেয়ার বসানোর জায়গা থাকবে বলে জানান কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা। 

কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক রেজা জানান, কৃষক লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলার জনসংখ্যার অনুপাত প্রতি ২০ হাজারে একজন করে আমাদের কাউন্সিলর আসবে। সেই হিসেবে ১০ হাজারের মতো কাউন্সিলর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ডেলিগেটের কোনো হিসাব নেই। সবাই আসতে পারবে।

উল্লেখ্য, দেশে কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয় সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই। ৩ বছরের কমিটির মেয়াদ থাকলেও চলেছে প্রায় ৮ বছর। শুধু কেন্দ্রীয় কমিটি নয়, জেলা পর্যায়ের কমিটিগুলোও বিভিন্ন কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে। ‘কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’- এই মূলমন্ত্রে সারা দেশে কৃষকসমাজকে সংগঠিত করে কৃষক-জনতার সার্বিক উন্নয়ন সাধন করাই কৃষক লীগের মূলনীতি হলেও তা থেকে দূরে সরে গেছে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই সংগঠনটি। এই পরিস্থিতিকে সামনে রেখে হচ্ছে কৃষক লীগের সম্মেলন।

সংগঠনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, কৃষক লীগের এই বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে মোতাহার হোসেন মোল্লা ও শামসুল হক রেজার নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না আওয়ামী লীগ প্রধান। খোঁজা হচ্ছে নতুন নেতৃত্ব। দক্ষ সংগঠক, কর্মিবান্ধব, দুঃসময়ের কাণ্ডারি ও সাবেক ছাত্রনেতাদের দেয়া হবে কৃষক লীগের নতুন দায়িত্ব। 

সূত্রমতে, সংগঠনের নাম কৃষক লীগ হলেও সাম্প্রতিক সময়ে কৃষি নিয়ে কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি সংগঠনটির। উল্টো ক্যাসিনোকাণ্ডে নাম উঠেছে সংগঠনটির এক কেন্দ্রীয় নেতার। যার সঙ্গে কৃষির ন্যূনতম সম্পর্কও নেই। তিনি হচ্ছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শফিকুল আলম ফিরোজ। রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের চেয়ারম্যান তিনি। ওই ক্রীড়া ক্লাবটিতে অবৈধ ক্যাসিনো বন্ধে র‌্যাবের অভিযানের পর গ্রেফতার হয়ে এখন কারাগারে তিনি। যদিও ফিরোজ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত ১১১ সদস্যের কমিটিতে ছিলেন না। কৃষক লীগের এমন অনেক নেতা রয়েছেন, যাদের কৃষির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই কৃষক সংগঠনটিও কৃষির সঙ্গে সম্পর্কহীন হয়ে পড়েছে।  

জানা গেছে, কৃষক লীগের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা ১১১। এটা সংশোধন করে খসড়ায় ১৫১ জন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সহ-সভাপতি ১৬ জন থেকে বাড়িয়ে ২১ জন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ৩ জন থেকে ৫ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ৭ থেকে বাড়িয়ে ৯ জন করার প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়া নতুন যুক্ত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক সম্পাদক, কৃষিশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, কৃষি উপকরণ বিষয়ক সম্পাদক ও কৃষিপণ্য পরিবহন বিষয়ক সম্পাদক পদ। আগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১০টি বিভাগীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে একটি করে সহ-সম্পাদকের পদ ছাড়াও প্রস্তাবকৃতসহ সব বিভাগীয় সম্পাদকের সঙ্গে সহ-সম্পাদক রাখার প্রস্তাব করা হচ্ছে। জেলা-উপজেলা কমিটির আকারও বৃদ্ধির প্রস্তাব দেবে গঠনতন্ত্র উপ-কমিটি। বর্তমান জেলা কমিটি ৮১ সদস্য বিশিষ্ট, যা ৯১ সদস্যবিশিষ্ট করার প্রস্তাব থাকছে। উপজেলা কমিটি ৭১ জনের স্থলে ৮১ জনের প্রস্তাব রয়েছে। পাশাপাশি ইউনিয়ন বা সমমর্যাদার কমিটি ৬১ থেকে বাড়িয়ে ৭১, আর ওয়ার্ড কমিটি ৫১ থেকে বাড়িয়ে ৬১ করার প্রস্তাব রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া এবার কয়েকটি সম্পাদকীয় পদের নামের সংশোধনী আনার প্রস্তাব করা হচ্ছে। সমবায় সম্পাদকের স্থলে কৃষি সমবায় সম্পাদক, কুটির শিল্পের স্থলে কৃষি-শিল্প ও বাণিজ্য, মৎস্য ও পশুর স্থলে মৎস ও প্রাণী, কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির স্থলে কৃষিবিজ্ঞান ও আইটি বিষয়ক সম্পাদক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদকের স্থলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক করার প্রস্তাব করা হচ্ছে।

দলীয় সূত্র বলছে, অন্যান্য সংগঠনের মতো দুর্নীতি আর অনিয়মের অভিযোগ আছে কৃষক লীগের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত এই নেতারা প্রভাবশালী হলেও ছিটকে পড়বেন নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থেকে। অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আর পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ এবার উঠে আসবেন কৃষক লীগের নেতৃত্বে। কৃষক লীগের আগামী নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য পদপ্রত্যাশীদের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ ও নিজস্ব টিম দিয়ে নানা মাধ্যমে পদপ্রত্যাশীদের বায়োডাটা আর অতীত কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন। অর্থাৎ এবার কৃষক লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন তিনিই। কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমন নিখাদ কৃষিবিদই আসতে যাচ্ছেন কৃষক লীগের নতৃন নেতৃত্বে। সেক্ষেত্রে কৃষক লীগের ভেতর থেকেই নির্বাচিত হবে নেতৃত্ব।

আলোচনায় যারা : 
কৃষক লীগের শীর্ষ দুই পদের জন্য আলোচনায় রয়েছেন সংগঠনের বর্তমান কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, সহ-সভাপতি শরীফ আশরাফ হোসেন, সহ-সভাপতি কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, সহ-সভাপতি শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম। 

সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমীর চন্দ্র, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিশ্বনাথ সরকার বিটু, কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট, আসাদুজ্জামান বিপ্লব, আবুল হোসেন, গাজী জসিম উদ্দিন, কাজী জসিম, আতিকুল হক আতিক।

সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ জানিয়ে কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক রেজা বলেন, কৃষি ও কৃষক সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে প্রধান্য দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের সম্মেলন। সম্মেলনের পরতে পরতে কৃষি আবহ থাকবে। ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ স্লোগানকে সামনে রেখে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হবে সকাল ১১টা থেকে।  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষক লীগকে খুব ভালবাসেন, এজন্য কৃষক লীগের সম্মেলন আগে দিয়েছেন। আমরা তার এই আস্থার প্রতিদান দিতে চাই। আশা করি খুব জমকালো একটি সম্মেলন হবে। যারা আগামীতে কৃষক লীগের নেতৃত্বে আসবেন তারা কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নের মাধ্যমে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

সম্মেলন নিয়ে কৃষক লীগ নেতা বদিউজ্জামান বাদশা বলেন, কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের কাজ করবে কৃষক লীগ। কৃষক লীগ নিয়ে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখতেন, নেত্রী যেভাবে দেখতে চান, আগামীতে যারা নেতৃত্বে আসবেন তারা সেভাবেই পরিচালিত করবেন সংগঠনটিকে। নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে আমরা কৃষক লীগের ভাবমূর্তি সেই ধারায় নিয়ে যেতে চাই। 
 
কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিশ্বনাথ সরকার বিটু বলেন, বাংলাদেশ কৃষক লীগের নেতাকর্মীরা বিশ্বাস করেন প্রধানমন্ত্রী সংগঠনের দায়িত্ব  যাদের দেবেন তারা সৎ ও ক্লিন ইমেজের হবে। তাদের নেতৃত্বেই সারা বাংলাদেশের কৃষকদের সুসংগঠিত করা হবে। জাতির জনকের হাতে গড়া এই সংগঠন আমরা এমন কিছু করে দেখাব যাতে প্রধানমন্ত্রী মাথা উঁচু করে বলতে পারেন- বাংলাদেশ কৃষক লীগ এদেশের কৃষকের জন্য কাজ করে। সরকারের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে কাজ করে।

সম্মেলন সময়মতো হওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট বলেন, নতুন নেতৃত্ব বিকাশের জন্য এই চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। ৮ বছর নয়, আমরা চাই প্রতি ৩ বছর পরপরই সম্মেলন হবে।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কৃষিবিদ বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, কৃষক লীগের কৃষিবান্ধব, সততা, পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নেতৃত্ব বাছাই করবেন নেত্রী। এই বিষয়ে আমাদের দল জিরো টলারেন্স নীতিতে আছেন। আপনারা জানেন যে, দলের মধ্যেই আমরা শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছি। সুতরাং আগামীর নেতৃত্ব কেমন আসতে যাচ্ছে তা অনুমেয়। বিভিন্ন কারণে অনেক সময়ে সম্মেলন নিয়মিত করা হয়ে ওঠে না। তবে প্রতিকূলতা থাকলেও সময়মতো সম্মেলনগুলো করা উচিত। সময়মতো সম্মেলন হলে নতুন নেতা নির্বাচিত হয়। সংগঠন গতিশীল হয়। যারা নেতা হতে চায় তারা নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করবে। এটা ঢিলা হয়ে গেলে মন খারপ হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা ডিমোরাইলাইজড (নিরুৎসাহিত) হয়ে যায়। কাজে গতি কমে যায়। সুতরাং সময়মতো সম্মেলন করা উচিত।

এএইচএস/ এফসি

আরও পড়ুন