• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২১, ০১:২৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১১, ২০২১, ০১:২৮ এএম

আওয়ামী লীগ

যে কারণে ইউপি প্রার্থী চূড়ান্ত করতে সময় লাগছে

যে কারণে ইউপি প্রার্থী চূড়ান্ত করতে সময় লাগছে

আসন্ন ৮৪৮ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই চলছে। টানা চার দিন বৈঠক করেও সব ইউনিয়নে প্রার্থী বাছাই শেষ করতে পারে নি আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচন জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড 

রোববার (১০ অক্টোবর) বোর্ডের সভায় ঢাকা বিভাগের আট জেলা ও সিলেট বিভাগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। সোমবার (১১ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় এ সভা আবার শুরু হবে। সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের ইউপিগুলোতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।

জানা গেছে, প্রতিটি ইউনিয়নে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সবার বিষয়ে নানা আলোচনার পরই মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে চান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্যই প্রার্থী চূড়ান্ত করতে কিছুটা বেশি সময় লাগছে। মনোনয়ন তালিকা চূড়ান্ত করতে আরও এক বা দুই দিন সময় লেগে যেতে পারে।

আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানায়, প্রতিটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নাম ধরে আলোচনার মধ্য দিয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হচ্ছে। যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন, তাদের যোগ্যতা, অযোগ্যতা সহ স্থানীয় রাজনীতির নানা বিষয় আলোচনার পরই প্রার্থী চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এ জন্যই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বৈঠক করেও এখনও আট বিভাগের প্রার্থী চূড়ান্ত করার কাজ শেষ করতে পারেনি মনোনয়ন বোর্ড।

প্রথম দিকে আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের পরিকল্পনা ছিল তিন দিনে দেশের আট বিভাগের সব ইউপিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। প্রথম দিনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ, দ্বিতীয় দিনে ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল এবং তৃতীয় দিনে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের প্রার্থী চূড়ান্ত করার কথা ছিল। 

গত ৭ অক্টোবর থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে বৈঠক করেন দলের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা। প্রথম দিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত প্রায় সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন পরিকল্পনা অনুসারে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। পরের দিন বৈঠক শুরু হয় বিকেল ৪টায়। এদিন বরিশাল, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের আংশিক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। এর পরদিন শনিবার বরিশাল ও খুলনা বিভাগের সব ইউপি এবং ঢাকা বিভাগের পাঁচ জেলায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। 

আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘একটি ইউনিয়নেও আলোচনা ছাড়া প্রার্থী চূড়ান্ত করছেন না আওয়ামী লীগ সভাপতি। প্রতিটি ইউনিয়নে প্রার্থীদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পরই ঠিক করা হচ্ছে নৌকার প্রার্থী কে হবেন।’

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুসারে, আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে স্থানীয় সরকারের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলার ২১ উপজেলার ১৭৬টি ইউপি, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার ২২ উপজেলার ১৬৫টি ইউপি, রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ১৪ উপজেলার ১১২টি ইউপি, খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ১৮ উপজেলার ৪৮ ইউপি, রংপুর বিভাগের আট জেলার ১১ উপজেলার ৮৪ ইউপি, সিলেট বিভাগের চার জেলার সাত উপজেলার ৪৫ ইউপি, ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার আট উপজেলার ৮৪ ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

জাগরণ/এসএসকে/এমএ