অবিলম্বে দেশের সৎ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিকদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়কারী ও এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছি, এখনও করছি। ৩০ ডিসেম্বর দিনে ড্রামা হয়েছে আর আগের রাতে ব্যালট কাটা হয়েছে। ৮০ ভাগ ব্যালটে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর নেই। শতকরা ৯৫ ভাগ ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে ব্যালট চোখে দেখার সুযোগ পায়নি। তাই আবারও বলছি, অবিলম্বে জাতীয় সরকার গঠন করুন। অন্যথায় মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে বেশিদূর এগোনো সম্ভব না-ও হতে পারে।
শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পূর্ব পান্থপথে এলডিপির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ড. কর্নেল অলি আহমদ এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এলডিপির মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদত হোসেন সেলিম, সহসভাপতি মোখফার উদ্দিন চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, যুব বিষয়ক সম্পাদক সফিউল বারী রাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কর্নেল অলি আহমদ বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কবর রচনা হয়েছে।
মিথ্যার উপর ভিক্তি করে এ সরকার বেশি দিন টিকবে না, টিকতে পারে না। তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলা করার জন্য টাকা জমা দেয়ার পরও রেজাল্ট শিট দিচ্ছে না রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সরকার জাতীয় ঐক্য চাইলে রাজনৈতিক বিবেচনায় যেসব বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান অলি। তিনি জানান, এ সরকার এবং ইসির অধীনে তার দল এলডিপি উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নেবে না।
এ সময় কর্নেল অলি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা শপথ নিলে জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত ও বিবেচিত হবেন।
বিরোধী দলের অনেক প্রার্থী সরকারের টাকায় নির্বাচন করেছে দাবি করে অলি বলেন, বিচার বিভাগ সরকারের নিয়ন্ত্রণে তাই নির্বাচন নিয়ে মামলা করে কোনো ফল হবে না, আর করলেও মামলায় তাদের পক্ষেই রায় দেবে আদালত। এ জন্য মামলা করবে না ২০ দল।
প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল অলি বলেন, জামায়াত যারা করে তারা যদি এদেশের নাগরিক হয় তা হলে তাদের রাজনীতি করতে দিতে হবে। কারণ সরকার তাদের নিষিদ্ধ করেনি। যেহেতু তারা নিষিদ্ধ দল নয়, সেহেতু তাদের রাজনীতি করার অধিকার আছে।
টিএস/ এফসি