• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৯, ০৮:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৯, ০৮:১৮ পিএম

ব্যর্থ বাংলাদেশের স্পিন পিচে, ‘আফগান ঘূর্ণিঝড়’

ব্যর্থ বাংলাদেশের স্পিন পিচে, ‘আফগান ঘূর্ণিঝড়’
আফগানিস্তানের স্পিনারদের বিরুদ্ধে রিয়াদের মতোই অসহায় ছিলেন বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাটসম্যান। ছবি: ইএসপিএন

আগের দিন সাকিব-মিরাজদের ব্যর্থতার পর একই পিচে আজ স্পিন ঘূর্ণির জাদু দেখিয়েছে আফগান বোলাররা। বৃহস্পতিবার স্পিনারদের ব্যর্থতার পর শুক্রবার মাঠে নামলেন দশ ব্যাটসম্যান। বোলিংয়ে তাইজুল আর ব্যাটিংয়ে মুমিনুল ছাড়া কেউই বলার মতো কিছু করতে পারেননি। দ্বিতীয় দিনের শেষ দিকে এসে মোসাদ্দেক আর তাইজুল যে লড়াইটা চালিয়েছেন, তা প্রশংসার দাবি রাখে অবশ্যই। তবে দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের চেয়ে এখনও বড় হয়ে উঠতে পারেনি মোসাদ্দেক- তাইজুলের এই লড়াই। 

স্বীকৃত পেসারহীন একাদশ নামানোর যেই দুই লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের- তার একটাও পূরণ হয়নি এখনও পর্যন্ত। স্পিন ভেলকি দেখিয়ে আফগান ব্যাটসম্যানদের কুপকাত করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। অন্যদিকে, অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজসহ ৯ স্বীকৃত ব্যাটসম্যানের মধ্যে অপরাজিত থাকা মোসাদ্দেক ও ফিফটি করা মুমিনুল বাদে কেউই গড়তে পারেননি প্রতিরোধ। 

প্রথম দিনশেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান করা আফগানিস্তান দ্বিতীয় দিনে এসে অলআউট হয়েছে ৩৪২ রানে। আফগান ব্যাটসম্যান রহমত শাহ তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি, শতকের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছিলেন আরেক ব্যাটসম্যান আসগর আফগানও।  

বিপরীতে আফগান স্পিনারদের ঘূর্ণিতে বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাটসম্যানই বোকা বনেছেন, অসহায়ভাবে বিলিয়ে এসেছেন নিজেদের উইকেট। যে কারণে একটা সময় মাত্র ৮৮ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশের পড়তে হয়েছিল ফলো-অনের শঙ্কায়। 

টেল-এন্ডার তাইজুল ইসলামকে নিয়ে মোসাদ্দেক হোসেন ৪৮ রানের জুটি না গড়লে তা হওয়ার সম্ভাবনাই ছিল বেশি। তাহলে ৭ স্পিনার আর ৯ ব্যাটসম্যানের একাদশ খেলিয়ে তাহলে লাভ হলো কী? এমন প্রশ্নের জবাব তো টিম ম্যানেজম্যান্টের কাছেই ভালো থাকবে। 

এমএইচবি

আরও পড়ুন