• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯, ০২:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৩:২০ পিএম

আফগান জুজু না কাটিলে প্রতিভা দিয়ে কী করিবো!

আফগান জুজু না কাটিলে প্রতিভা দিয়ে কী করিবো!
ফাইল ছবি

মাস চারেক আগের কথা। কী সুবিশাল প্রত্যাশা! বিশ্বজয়ের স্বপ্ন মনে লুকিয়ে, প্রকাশ্য বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার প্রত্যাশা নিয়ে ইংল্যান্ড গিয়েছিল বাংলাদেশ। অথচ মাত্র চার মাসেই বদলে গেছে প্রেক্ষাপট। 

দেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে একটু একটু করে ধুলো জমে ঔজ্জ্বলতায় এমনই মরিচিকা ধরেছে যে, তিন টেস্ট খেলা আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারতে হয় কোনো রকম প্রতিদ্বন্দীতা ছাড়া; নাভিশ্বাস ওঠে ক্রিকেট বোর্ডহীন একটা দেশের বিপক্ষে জিততে, সে দিকে লক্ষ্য করেনি কেউ। 

এমন ধুলোর আস্তরণ সরাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সহায় হয়েছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। বাংলাদেশের ক্রিকেট আকাশে যে মেঘ জমেছিল, তাতে খানিকটা আলো ছড়িয়েছেন। তাতেই আমরা ভুলে গেছি সব। চারদিন আগের সেই চট্টগ্রাম টেস্টের ব্যর্থতা, শ্রীলঙ্কায় নিজেদের নাস্তানাবুদ হওয়া, কিংবা হতশ্রী বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স।

রোববার ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। কয়েকদিন আগেই তাদের কাছে হেরেছি এমন এক ফরম্যাটে যেখানে বাংলাদেশে ছিল ঢের এগিয়ে। এবার টি-টুয়েন্টিতে। আফগান ক্রিকেটাররা যেটা খেলেন সবচেয়ে ভালো। তার প্রমাণ পাওয়া যায় পরিসংখ্যানে।

এখনও পর্যন্ত আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলেছে চার টি-টুয়েন্টি। যার মধ্যে মাত্র এক জয় বাংলাদেশের, তাও সেই ২০১৪ সালে। এরপর ভারতের দেরাদুনে গিয়ে আফগানদের কাছে হোয়াইট ওয়াশও হতে হয়েছে বাংলাদেশকে।  

রশিদ-মুজিব-নবী ত্রিফলার স্পিন যে ফরম্যাটে হয়ে ওঠে সবচেয়ে বিধ্বংসী। হজরতউল্লাহ জাজাই, নাজিবউল্লাহ জাদরানরা যেই ফরম্যাটে সিনিয়রদের ভরসা যোগান ব্যাটে। অভয় দেন 'আমরা আছি'।

আর বাংলাদেশ? সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন নেই বিন্দুমাত্র। সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা অসংখ্যবার প্রমাণ করেছেন তারা কী করতে পারেন। দেখিয়েছেন, হারিয়ে দিতে পারেন বিশ্ব ক্রিকেটের যেকোনো বড় দলকে। জাজাই-জাদরানদের মতো বাংলাদেশেরও আছে লিটন-সৌম্য।

কোনো কোনো বিচারে হয়তো জাদরানদের ছাড়িয়েও যাবেন লিটনরা। তবে তাদের সঙ্গে পার্থক্য হলো, তারা নিজেদের প্রতিভা লুকিয়ে রাখেন না। আমাদের ক্রিকেটাররা লুকিয়ে রাখেন, অথবা পারেন না তা দেখাতে। সৌম্য-লিটনরা যদি আরও একবার ব্যর্থ হন, আরও একবার কেউ এসে বলে উঠেন 'তাদের সামর্থ্য আছে'।

তখন নিশ্চয়ই বাংলাদেশের ক্রিকেট আকাশের মেঘ আরও ঘনীভূত হবে। দেশের ক্রিকেট নিয়ে প্রশ্ন উঠবে আরও একবার। কেবলমাত্র প্রতিভা দিয়ে তো আর ক্রিকেট হয় না, মাঠে মানসিক ও নিজের ক্রিকেটীয় সামর্থ্যের প্রয়োগ দেখাতে হয়। লিটন-সৌম্যরা যদি আবারো ব্যর্থ হন তা করতে, তাহলে আর আফগান জুজু কাটবে কী করে? আর যুদ্ধবিধ্বস্ত একটা দেশ, যাদের ক্রিকেট বোর্ড আইসিসির অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার এক বছর পর তাদের জুজুই যদি কাটানো না যায়; তাহলে এই প্রতিভা দিয়ে আমরা কী করবো!

এমএইচবি

আরও পড়ুন