• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯, ০২:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯, ০৬:৫৯ পিএম

জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের পালাবদলের সাক্ষীর বিদায়

জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের পালাবদলের সাক্ষীর বিদায়
সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরুতে আলোর দ্যুতি ছড়িয়ে ক্রিকেটে আগমন হ্যামিল্টন মাসাকাদজার। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ পথ প্রদর্শক যে তিনিই হবেন সে বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেকেই। 

জিম্বাবুয়ের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেছিলেন আগেই, অভিষেকটা আরও বেশি উজ্জ্বল। ২০০১ সালে অভিষেক টেস্টেই বনে যান সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান । এরপর নিজের জীবনের নানা বাঁকবদল, তার সঙ্গী ক্রিকেট ক্যারিয়ারও।

ক্রিকেট ক্যারিয়ার তখনও সম্ভাবনাময়, তবুও এক বছরের মাথায় বাবার পরামর্শে চলে যান দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানে তিন বছর মার্কেটিং ডিগ্রি শেষ করে আবার ফেরেন সেই ক্রিকেটেই। তবে শুরুতেই যেই বার্তা দিয়েছিলেন, তা আর ফেরাতে পারেন না। সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের সমাপ্তিটা ঠিক সেই মাপের হয়নি নিশ্চিত, তবুও দেশকে ১৮ বছর প্রতিনিধিত্ব করতে পারায় মাসাকাদজা খুশি।

১৮ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সাক্ষী হয়েছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট বদলে যাওয়ার। ফ্লাওয়ার ব্রাদার্সের সেই রঙিন সময় পেরিয়ে, জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে এখন নেমে এসেছে মাসাকাদজার ক্যারিয়ারের মতোই গোধূলী বেলা। অস্তিত্ব সংকটে ভুগতে থাকা একটা জাতির দেশের ক্রিকেটকে, আবার স্বর্ণালী সময়ে ফিরিয়ে দেয়ার লড়াইয়ে সেনাপতি ছিলেন এতদিন।

তবুও মাঝপথে থামাতে হচ্ছে সে লড়াই। 'বিপিএল', 'ডিপিএল', 'জাতীয় দল' এর হয়ে খেলার সুবাদে যে দেশকে নিজের 'দ্বিতীয় বাড়ি' বলেছেন বারবার; সেই বাংলাদেশেই। এক ম্যাচ আগেই দলের ফাইনাল খেলতে না পারা নিশ্চিত হওয়ায়; নিশ্চিত হয়েছে আফগানিস্তানের বিপক্ষেই তিনি খেলছেন শেষ ম্যাচ।

জিম্বাবুয়ের হয়ে  ৩৮ টেস্ট খেলে করেছেন ২২২৩ রান, ফ্লাওয়ার ব্রাদার্স আর ক্যাম্পবেলের পর যা চতুর্থ সর্বোচ্চ। ওয়ানডেতে করেছেন ৫৬৫৮ রান, এখানেও দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে অবশ্য ছাড়িয়ে গেছেন জিম্বাবুয়ের সবাইকে করেছেন ১৫৯১ রান। 

২০০০ পরবর্তী সময়েও যাদের ক্রিকেট দেখার শুরু, তাদের স্মৃতিতেও নিশ্চয়ই মাসাকাদজা থাকবেন জ্বলজ্বলে। বিশ্ব ক্রিকেটে যখন জিম্বাবুয়ে প্রতাপশালী দল, সেই সময়টা দেখেছেন, এখন যখন দেশের ক্রিকেটে ঘোর অন্ধকার তখনও তিনি আছেন। মাঠের বাইরের নানা বাস্তবতায় যখন দেশের ক্রিকেটে পিছনে হেঁটেছে, তার পুরোটা সময় তিনি লড়েছেন।

তবে আর তা করবেন না। তাও দেশের স্বার্থেই। তরুণ ক্রিকেটাদের সুযোগ করে দিতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে চলে যাচ্ছেন অবসরে। তবুও যখনই বাংলাদেশ কিংবা যেকোনো দেশের মানুষের মুখে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের গল্প শুরু হবে, নিশ্চিতভাবেই সেখানে উপস্থিত থাকবেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের পালাবদলের সাক্ষী হিসেবেই। 

এমএইচবি

আরও পড়ুন