• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯, ০৩:২৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯, ০৩:৩৩ পিএম

মাশরাফী বাংলাদেশকে কতটা দিয়েছে মানুষ জানে না: মাসাকাদজা

মাশরাফী বাংলাদেশকে কতটা দিয়েছে মানুষ জানে না: মাসাকাদজা
সংগৃহীত ছবি

দুইজনই নিজ নিজ দেশের কিংবদন্তি ক্রিকেটার। হ্যামিল্টন মাসাকদজা আর মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা দেশের হয়ে নামেন প্রতিপক্ষ হিসেবেই। তবে ঢাকা লীগে একই দলে খেলার সুবাদে সতীর্থও ছিলেন দু'জন। শুক্রবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন মাসাকাদজা। 

২০১৬ সালে মাশরাফীর সঙ্গে ঢাকা লীগে কলাবাগানে খেলার সময় কাছ থেকে দেখে দেখেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ককে। 'বিপিএল', 'ডিপিএল' আর জাতীয় দল সব মিলিয়ে মাসাকাদজার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের লম্বা সময় ধরেই ছিলেন বাংলাদেশে, স্মৃতিতেও জমা পড়েছে অনেক কিছু। তার মধ্যে ওই মাশরাফীকে সতীর্থ হিসেবে পাওয়াটাই তার কাছে সবচেয়ে দারুণ স্মৃতি। 
 
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার অনেক ভালো স্মৃতি রয়েছে। ঢাকা লীগে খেলার মাধ্যমে অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে কাছ থেকে পরিচিত হতে পারাটা দারুণ একটা স্মৃতি। এর মধ্যে সবকিছুকে ছাড়িয়ে যায় ক্লাব ক্রিকেটে মাশরাফির সঙ্গে খেলার (২০১৬ সালের ঢাকা লিগে, কলাবাগানের হয়ে) অভিজ্ঞতা। আমার মনে হয় অনেক মানুষই তার গল্পটা জানে না, অনেকেরই ধারণা নেই মাশরাফি কিসের মধ্য দিয়ে গেছে।’

মাশরাফী বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কতটা দিয়েছে সে ব্যাপারেও মানুষ জানে না বলেই দাবি মাসাকদজার। তিনি বলেন, ‘আমার মনে আছে, একবার মাশরাফির সঙ্গে কথা বলার সময় আমি তাকে পরামর্শ দিচ্ছিলাম, সে যেনো নিজের জীবন ও অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা বই লিখে ফেলে। কারণ এটা খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক হবে। আমার মনে হয় মানুষ জানে না সে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কতটা দিয়েছে। তাই তার সঙ্গে ঢাকা লিগে এক দলের হয়ে খেলাটা সত্যিই দারুণ সময় ছিলো।’

রাজসিকভাবেই নিজের ক্যারিয়ার শেষ করেছেন মাসাকদজা। মাত্র ৪২ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন তো বটেই, সঙ্গে হয়েছেন ম্যাচ সেরাও। নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সঙ্গে এমনভাবে বিদায় নিতে পেরে খুশি জিম্বাবুয়ে অধিনায়কও। 

তিনি বলেন, ‘এভাবে ক্যারিয়ার শেষ করতে পেরে দারুন লাগছে। ড্রেসিং রুমে জয়ের ব্যাপারে কথা বলেছিলাম। আফগানিস্তানের জয় রথ থামাতে পারাটা দারুণ অনুভূতি। ছেলেরা নিজেদের লড়াকু মনোভাব দেখিয়েছে। প্রথম ম্যাচ আমরা জিততে পারলে টুর্নামেন্টের চিত্র অন্যরকম হতো। ক্যারিয়ারে অনেক উত্থান-পতন হয়েছে। দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পেরেছি এবং গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারের হাত থেকে অভিষেক ম্যাচের ক্যাপ নিতে পেরেছি। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ও বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মত টেস্ট ম্যাচ জিততে পারি আমরা। এমন ক্যারিয়ারে পেছনে খেলোয়াড়, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ ও পরিবারের অনেক অবদান ছিল। তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।’

এমএইচবি

আরও পড়ুন